খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, ভোগান্তিতে কর্ণফুলীর হাজারো মানুষ

সংস্কার না করায় চট্টগ্রামের কর্ণফুলীর মৌলভীবাজার-বাংলাবাজার ঘাট সড়কের অধিকাংশ স্থান খানাখন্দে ভরে গেছে। প্রায় এক কিলোমিটার এ সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার ইছানগর, চরপাথরঘাটা, চরলক্ষ্যা ও শিকলবাহার ইউনিয়নের হাজারো মানুষের। দীর্ঘ ১০ বছরেও কোন সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসীরা।

জানা গেছে, এ সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াত করতে হয় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ২৫টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। প্রতিদিন ভোগান্তির শিকার হচ্ছে উপজেলা ছাড়াও অন্য উপজেলার সাধারণ যাত্রীদের। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বাজার, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার শিক্ষার্থী এবং বিভিন্ন শিল্প কারখানার শ্রমিকদের যাতায়াত করতে হয় এ সড়ক দিয়ে। খানাখন্দে ভরা সড়কের ওপর দেওয়া পাথরে উল্টে যায় রিকশা-ভ্যানসহ ছোটখাট যানবাহনও।

সোমবার (২০ জুলাই) সরেজমিন গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সড়কের বিভিন্ন স্থানে কার্পেটিং উঠে ইটের খোয়া বের হয়ে গেছে। কোথাও কোথাও বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে একটি গাড়ি আরেকটিকে অতিক্রম করতে পারছে না। সড়কটিতে প্রতিদিনই কিছু দুর্ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয়রা বলেন, ২০১০ সালে এলজিইডির অর্থায়নে ওই সড়ক কার্পেটিং করা হয়। কিন্তু বিন হাবিব লিমিডেটসহ বিভিন্ন শিল্প কারখানার ভারি যানবাহন চলাচলের কারণে সড়কটি দ্রুত সময়ের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। এরপর থেকে সড়কটি আর সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ভোগের শেষ নেই। দীর্ঘ ১০ বছরেও সংস্কার করেনি।
খানাখন্দে ভরা সড়কে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল, ভোগান্তিতে কর্ণফুলীর হাজারো মানুষ 1
চালকরা জানান, খারাপ রাস্তার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যাচ্ছে যানবাহন। আমরা গরিব মানুষ, দিনে আনি দিনে খাই। রাস্তার কারণে গাড়ির পেছনে যত টাকা খরচ হয়, তাতে আমাদের পরিবার নিয়ে দুবেলা দুমুঠো খাওয়াই কঠিন হয়ে পড়েছে। এছাড়া সড়কের বিভিন্ন অংশে একাধিক ঝুঁকিপূর্ণ গর্ত থাকায় দুর্ঘটনা ঘটছে হরহামেশা। দ্রুত এ সড়ক সংস্কার না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও হতে পারে। এ সড়ক দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে প্রায় রিকশা ও ভ্যান উল্টে আহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও ইছানগর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার আবু তাহের বলেন, ‘প্রায় কয়েক বছর কোন সংস্কার হয়নি। সড়ক দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানার ভারি যানবহন চলাচল করে। ফলে বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। অল্প বৃষ্টিতে পানি জমে যায়। হাজার মানুষের ভোগান্তির সাথে আছে দুর্ঘটনাও। সড়কটি সংস্কারের জন্য আমরা বিভিন্ন দপ্তরে জানিয়েছি। আশা করছি শীঘ্রই সংস্কার কাজ হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান ফারুক চৌধুরী বলেন, সড়কটির বেহাল অবস্থার বিষয়টি ইতিমধ্যে উপজেলা মাসিক সমন্বয় সভায় বলা হয়েছে। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি নির্দেশে সড়ক সংস্কারের জন্য একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই সড়কের সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!