খাতুনগঞ্জে পেঁয়াজের মূল্যে কারসাজি, ৪ আড়তকে জরিমানা

পেঁয়াজের অগ্নিমূল্য নিয়ন্ত্রণে চট্টগ্রাম নগরীর পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার ( ৩ নভেম্বর) বিকাল ৪টায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। অভিযানে ৪টি আড়তকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের এ অভিযানে খাতুনগঞ্জের প্রায় শতাধিক আড়ত পরিদর্শন করা হয়। অভিযানে প্রমাণ মেলে আমদানিকারক-কমিশন এজেন্ট ও আড়তদাররা বাজারে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত থাকা সত্ত্বেও দামে কারসাজি করছে। দেখা যায়, মিয়ানমার থেকে যে পেঁয়াজ ৪২ টাকা দরে আমদানি হয়েছে, তা ৯০-১১০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।

ব্যবসায়ীরা মিয়ানমারের পেঁয়াজ বেশি দামে বিক্রির জন্য প্রতারণা ও কৌশলের আশ্রয় নিচ্ছে। মূল্যতালিকায় মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকা লেখা থাকলেও, বেশ কয়েকটি আড়তের বিক্রয় রেজিস্টার পরীক্ষা করে দেখা যায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ৯৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সিলেটগামী একটি পেঁয়াজভর্তি ট্রাকের চালান পরীক্ষা করে দেখা যায়, অছি উদ্দিন ট্রেডার্স তাদের আড়তে মূল্যতালিকায় মিয়ানমারের পেঁয়াজের দাম ৬০-৭০ টাকা রাখলেও, চালানে মূল্য লেখা হয়েছে ১১০ টাকা। মূল্যতালিকার অধিক দামে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে অছিউদ্দিন ট্রেডার্সকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

খাতুনগঞ্জে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের মজুতদার মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংয়ের সামনে কুমিল্লা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াগামী ট্রাকের চালান থেকে জানা যায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে কেনা। কিন্তু আড়তে সংরক্ষিত মূল্যতালিকায় পেঁয়াজের দাম ৬০-৬৫ টাকা। এই কারসাজির দায়ে মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়া সৌমিক ট্রেডার্স ও বেঙ্গল ট্রেডার্সকে আমদানি মূল্যের অধিক ১০০-১০৫ টাকা দরে কেজিতে পেঁয়াজ বিক্রির দায়ে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

সিএম/সিআর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!