খাতুনগঞ্জের ২০ টাকার পেঁয়াজ খুচরা বাজারে ৭০ টাকা

দফায় দফায় পাইকারিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম। বর্তমানে মানভেদে ২০ থেকে ৪৫ টাকা বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। যদিও খুচরায় তেমন প্রভাব পড়েনি। চট্টগ্রামের পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়। ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।

এদিকে খুচরা ক্রেতারা গত দুই সপ্তাহ ধরে ৭০ টাকা কেজিতে পেঁয়াজ কিনেছেন। খুচরায় সেটি কমে এখন ৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও খুচরায় প্রভাব পড়েনি। ফলে ক্রেতারা দাম কমার সুফল পাচ্ছেন না।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজারে দেখা যায়, আড়তের সামনেই রেখে দেওয়া হয়েছে পেঁয়াজ। প্রত্যেকটি গুদামে পরিপূর্ণ পেঁয়াজ দেখা যায়। সর্বনিম্ন পেঁয়াজ ২০ টাকায় (বার্মা) বিক্রি করছেন আড়তদাররা। যদিও ভারতীয় পেঁয়াজ মান ভেদে ৪০ ও ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহ আগে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ থেকে ৫৫ টাকা দামে।

খাতুনগঞ্জের হামিদুল্লাহ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইদ্রিস বলেন, পেঁয়াজের পাইকারি দাম কমতে কমতে ২০ টাকাতে চলে এসেছে। খাতুনগঞ্জের প্রত্যেকটি গুদাম পেঁয়াজে ভর্তি। এখানে কোন সিন্ডিকেট নেই। পেঁয়াজের দাম এখন কমতির দিকে।

খাতুনগঞ্জের আল মদিনা ট্রেডিংয়ের মোহাম্মদ এহসান উল্লাহ জাহেদী বলেন, খুচরায় এখনও প্রভাব না পড়লেও আগামী কয়েক দিনের মধ্যে খুচরায় কমবে পেঁয়াজের দাম। কারণ অনেক খুচরা ব্যবসায়ীর কাছে হয় বেশি দামে কেনা পেঁয়াজ রয়েছে, তাই তারা বিক্রি করতে পারছেন না। কিন্তু পেঁয়াজের বাজার আবার আগের মতো হয়ে গেছে। মিয়ানমার ও ভারত থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আসতেছে।

কনজ্যুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, পাইকারিতে পেঁয়াজের দাম কমলেও এর সুফল ভোক্তারা এখনও পাচ্ছেন না। আমাদের দেশের বাজার ব্যবস্থাটা এমন কোন কিছুর দাম বাড়লে সবাই বাড়িয়ে দেয়। কমলে সবাই কমায় না। পেঁয়াজের দাম কমার সাথে সাথে খুচরা পর্যায়েও কমা দরকার ছিল। এর জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।

এএস/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!