খাটে লাশ ওড়না ঝুলছে ফ্যানে, পুলিশ আসছে শুনে পালিয়েছে স্বামী

আনোয়ারায় গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

বোনের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফোন পেয়ে ছুটে গেলেন গৃহবধূর ভাই। গিয়ে দেখেন লাশ পড়ে আছে খাটে। ফ্যানে প্যঁচানো ওড়না। বাড়ি খালি স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা কেউ নেই। পালানোর সময় সঙ্গে নিয়ে গেছে নিহত গৃহবধূর ৪ বছরের শিশুটিকেও।

নির্মম এ ঘটনাটি ঘটেছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা গ্রামে। শ্বশুরবাড়ির লোক আত্মহত্যা বললেও আগে থেকে নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে জানালেন নিহত গৃহবধূর পরিবার।

মঙ্গলবার (২ জুন) উপজেলার হাইলধর ইউনিয়নের খাসখামা গ্রামের মোহাম্মদ নুরুল হক প্রকাশ মিয়ার বাড়ি থেকে সেলিনা আকতার (২৫) নামের এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছ পুলিশ। নিহত সেলিনা চট্টগ্রাম নগরীর কাস্টম এলাকার পূর্ব মাদার বাড়ির সোনা মিয়ার মেয়ে। তিনি আনোয়ারার প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনর স্ত্রী। লাশ উদ্ধারের পর থেকে থেকে পলাতক রয়েছেন স্বামী ও শ্বশুর- শাশুড়ি। তাদের সাথে করে নিয়ে গেছেন নিহত সেলিনার ৪ বছরের শিশুকেও।

নিহতের বড় ভাই মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, ‘তারা সকালে আমাদের ফোন করে বলে— তোমার বোন ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। এসে দেখি ফ্যানের সাথে ওড়না ঝুলানো, খাটে শুয়ে আছে আমার বোন। দ্রুত খবর দিই আনোয়ারা থানা পুলিশকে। পুলিশ আসার আগেই তারা আমার বোনের ৪ বছরের ছেলেকেও নিয়ে পালিয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘৪ বছর আগে পারিবারিকভাবে প্রবাসী সাদ্দাম হোসেনর সাথে বিয়ে হয় আমার বোন সেলিনার। বিয়ের পর থেকে স্বামী থাকত বিদেশে। শশুর-শাশুড়ি তাকে শারীরিক ও মানসিসকভাবে নির্যাতন করত। এদের অত্যাচারের ঘটনায় গত বছর আদালতে একটি অভিযোগও দায়ের করেছিলাম। কিছুদিন আগেও আমার বোন বাড়িতে চলে আসে। রোজায় তার স্বামী দেশে আসলে আবার বোনকে শ্বশুর বাড়ি নিয়ে যায়। আজ বোনের বাড়ি আসার কথা ছিল। আমি জানি সবাই মিলে আমার বোনকে মেরে ফেলেছে।’

আনোয়ারা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ দুলাল মাহমুদ বলেন, ‘গৃহবধূর মৃত্যুর খবরে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। স্বামীসহ সবাই পলাতক। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!