দুই পক্ষের দ্বন্দ্বে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল নালা। এতে সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা ডুবতো পানিতে। এক যুগেরও বেশি এলাকাবাসী এই দ্বন্দ্বের বলি হলেও সমাধান মিলেনি। ফলে এই দূর্ভোগকে নিয়তি হিসেবেই মেনে নিয়েছিলো হাজারো মানুষ। কিন্তু এই দূর্ভোগ লাঘবে এগিয়ে এলেন এবার স্থানীয় কাউন্সিলর। দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে দিলেন তিনি। তারপর কিছুটা ‘শক্ত’ হাতেই পরিস্কার করে দিলেন সেই নালা। নালা অবৈধ দখলমুক্তের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের জমে থাকা ময়লা-আবর্জনাও অপসারণ করেন তিনি।
বলছিলাম চট্টগ্রামের চাঁন্দগাও থানা এলাকার খাজা রোডের সাবানঘাটা মৌলভী আসাদ আলী বাড়ি সংলগ্ন বড় নালা নিয়ে দ্বন্দ্বের কথা। এক পক্ষ ওই নালার ১০-১২ ফুট প্রশস্ত স্থান দখল করে রাখে দীর্ঘদিন।
শনিবার (১৫ অক্টোবর) সকাল ১১টায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১০ জন সেবককে নিয়ে অভিযান চালান চান্দগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল।
তিনি নিজেই সেবকদের সঙ্গে সঙ্গে ময়লা পরিষ্কারে নেমে গিয়ে নজর কাড়েন এলাকাবাসীর। দীর্ঘদিন দখলে থাকায় নালার প্রায় আধা কিলোমিটার নালায় জমে গিয়েছিলো আবর্জনা।
স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, একযুগেরও বেশি সময় ধরে নালার একপাশ বন্ধ করে রাখা হয়। কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাল নিজেই শনিবার নালা দখলমুক্তের পাশাপাশি জমে থাকা ময়লা অপসারণ শুরু করেন। এলাকার পানি যাওয়ার একমাত্র নালা ছিল এটি। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো এলাকা পানিতে ডুবে যেত। কাউন্সিলর এই উদ্যোগের কারণে এলাকাবাসী দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে মুক্তি পাবে।
যোগাযোগ করা হলে চান্দগাঁও ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসরারুল হক এসরাইল বলেন, ‘চাঁন্দগাও খাজা রোডের সাবানঘাটা মৌলভী আসাদ আলী বাড়ি সংলগ্ন বড় একটি নালা দখলমুক্ত করে ময়লা অপসারণের কাজ শুরু করেছি। ১০ থেকে ১২ ফুট প্রশস্তের এই নালার আধা কিলোমিটার পর্যন্ত ছিল ময়লার স্তূপ রয়েছে। আমাদের সিটি করপোরেশনের ১০ জন সেবককে এসব ময়লা অপসারণে নিয়োজিত করা হয়েছে। কাজ চলমান রয়েছে। দু-একদিনের মধ্যে সব ময়লা দ্রুত অপসারণ করা হবে।’
এমএফও