খাগড়াছড়িতে সেনা টহলে গুলি-পাল্টা গুলিতে ৩ সন্ত্রাসী নিহত

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে ইউপিডিএফের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ইউপিডিএফের ৩ কর্মী নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরে দীঘিনালার বড়াদম ইউনয়নের গহীন এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহত ইউপিডিএফ কর্মী হলেন জিতেন্দ্র চাকমা (৪৫), নবীন চাকমা (২৫) ও রসুল চাকমা (২৭)। তারা দীঘিনালার কৃপাপুর এলাকার বাসিন্দা।

জানা গেছে তারা ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ)কার্যক্রমের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।

আইএসপিআর সূত্রে জানা গেছে, সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরে নিরাপত্তা বাহিনীর একটি নিয়মিত টহলদল দায়িত্ব পালনকালে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা গোপন আস্তানা থেকে গুলি চালায়। এসময় সেনা সদস্যরা আত্ম-রক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছুঁড়লে তিনজন মারা যায়।
এরপর ওই এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

তবে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমার দাবি, নিরাপত্তাবাহিনীর কর্মীরা রোববার দিবাগত রাতে এই তিন জনকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। সোমবার ভোরে নির্জন এলাকায় তাদের লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী।

খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রওনক আলম বলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাছ থেকে খবর পেয়ে তারা দীঘিনালার একটি দুর্গম গ্রাম থেকে ৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় সনাক্ত করা যায়নি। ঘটনাস্থল থেকে ৮ রাউন্ড গুলি, ২টি পিস্তল ও ৪ রাউন্ড গুলিসহ একটি আমেরিকান এম-৪ কার্বাইন উদ্ধার করা হয়েছে।’

এ ব্যাপারে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) খাগড়াছড়ি জেলা ইউনিটের সংগঠক অংগ্য মারমা নিহত ৩জনকে নিজেদের সদস্য দাবী করে জানান, মূলত দলের ৩ সদস্যকে কৃপাপুর এলাকা থেকে ভোরে তুলে নেওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে আরো কয়েক কিলোমিটার দূরবর্তী এলাকায় তাদের লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!