খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি মাটিরাঙার আলুটিলা এলাকায় ধর্মীয় মেলায় ট্রাক চাপায় নারী-শিশুসহ ৮ জন নিহত ও অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার পৌনে ১১ টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুজন এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন।
নিহতরা হচ্ছেন মহালছড়ি উপজেলার চোংড়াছড়ির মংপ্রু মারমার স্ত্রী নাইম্রা মারমা (৪০) ও তার ছেলে চিংলা মারমা (১৩), চাইলাপ্রু মারমার ছেলে উচিংনু মারমা (১৫), মংমং মারমা শিশু কন্যা মাথিং মারমা (৫), চাইহ্লা মারমার শিশু কন্যা টুনটুনি মারমা (১০), মংক্ররীর মারমার ছেলে অংক্যচিং মারমা (১২) ও রামগড় পাতাছড়া ইউনিয়নের নাকাপা এলাকার আক্যসুই মারমার ছেলে সাথোয়াইপ্রু মারমা (১৫)। পরে চট্টগ্রাম মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন অবস’ায় ববি মারমা (১৪) নামে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। উচিংনু মারমা ও অংক্যচিং মারমা চলমান এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।
আহতরা মাটিরাঙা উপজেলার তবলছড়ি এলাকার মংসাউ মারমার স্ত্রী ম্রানাইউ মারমা (২৫), মাইসছড়ি এলাকার সাজাউ মারমার ছেলে জনি মারমা (২৮), আলুটিলা এলাকার ইন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে সুকেন ত্রিপুরা (২৮), চেহ্লাউ মারমার মেয়ে ববি মারমা (৩০), চোংড়াছড়ি এলাকার মংমং মারমা স্ত্রী উমেচিং মারমা, খাগড়াপুর এলাকার তরুন ত্রিপুরার স্ত্রী পিপি রাণী ত্রিপুরা (২৪), রাঙামাটি জেলার সাজেকের দারি পাড়া এলাকার জনি চাকমার ছেলে শান্তি রঞ্জন চাকমার (৪৫), মহালছড়ির চিংলামং মারমার ছেলে চিংক্যহ্লা মারমা (৮) একই এলাকার মংমং মারমার মেয়ে চিংম্রাউ মারমা (১৫) ও পাইসাউ মারমার ছেলে রনি মারমা (৩০)। আহতদের মধ্যে থেকে তিনজনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাটিরাঙা উপজেলার আলুটিলা সাংকসস নগর বৌদ্ধ বিহারের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশ নিতে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা বিহারে আসেন। বিহারে উপরে ও নিচে হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয়। পৌনে ১১টায় খাগড়াছড়িগামী পাথরবোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বিহারের নিচে থাকে পথচারীদের চাপা দেয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সালেহউদ্দীন জানান, ঘাতক ট্রাক চালক মো. সুমনকে ট্রাকসহ আটক করা হয়েছে।
নিহতদের স্বজনরা জানান, ঘাতক ট্রাকটি চালকের পরিবর্তে সহকারীই চালিয়ে আসছিল। এতো বড়ো ধর্মীয় অনুষ্ঠান হলেও জেলা পুলিশ ও ট্রাফিকের পক্ষ থেকে জননিরাপত্তামূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা সদর হাসপাতালে নিহতদের সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ বুঝিয়ে দিয়েছেন এসআই আব্দুল্লাহ আল মাসুদ।