খাগড়াছড়ির আদালতে ন্যায়কুঞ্জের নির্মাণ শুরু, সুবিধা পাবে বিচারপ্রার্থীরা

খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আগত বিচারপ্রার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার তথা ন্যায়কুঞ্জের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করা হয়েছে। ৪৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত এ বিশ্রামাগারটি বাস্তবায়ন করছে খাগড়াছড়ি গণপূর্ত অধিদপ্তর।

শনিবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় খাগড়াছড়ি জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গনে এ ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ মো. শাহীন উদ্দিন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক (জেলা জজ) মো. আজিজুল হক, খাগড়াছড়ি জেলার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সহিদুজ্জামান, সুপ্রিম কোর্ট হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ) আলমগীর মুহাম্মদ ফারুকী, খাগড়াছড়ির জেলার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সৈয়দ ওমর ফারুক সুজন, খাগড়াছড়ি জেলার পুলিশ সুপার নাঈমুল হক, খাগড়াছড়ি জেলা বারের সভাপতি আশুতোষ চাকমা।

বিচারকবৃন্দ ছাড়াও আইনজীবী, আদালতের কর্মচারীবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদিকরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

পরে জেলা জজ আদালতের কনফারেন্স রুমে বিচারকদের সাথে এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন খাগড়াছড়ির জেলার জেলা ও দায়রা জজ মো: শাহীন উদ্দিন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ।

সভায় প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি আদালতের পুরনো মামলাগুলো দ্রুত নিষ্পত্তির দিকনির্দেশনা দেন। তিনি মামলা দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির করার যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বিচারকদের প্রতি বিশেষভাবে নির্দেশ প্রদান করেন।

ন্যায়কুঞ্জের নির্মাণ কাজ উদ্বোধনে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ বলেন, দেশের সকল জেলা জজ আদালতগুলোতে মাননীয় প্রধান বিচারপতির আগ্রহ এবং নির্দেশনায় ন্যায়কুঞ্জ স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে। এই ন্যায়কুঞ্জে দূরদুরান্ত থেকে সাক্ষীরাসহ মামলার বিচারপ্রার্থী জনগন এসে অপেক্ষা করতে পারবে। এই ন্যায়কুঞ্জে দুগ্ধপোষ্য শিশুদের মায়েদের জন্য ব্রেস্টফিডিং রুমের আলাদা ব্যবস্থা করা হবে। তাছাড়া এখানে বিচারপ্রার্থী জনগণের জন্য শৌচাগারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা থাকবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!