ক্লান্ত দুই ট্রেন হঠাৎ থেমে গেল লাকসাম ও ফাজিলপুরে

চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে সকালে দুটি আন্তঃনগর ট্টেন ছেড়ে গেলেও একটি ফাজিলপুর অপরটি লাকসাম পৌঁছে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। প্রায় আধঘন্টা পর ইঞ্জিন দুটি সচল করার পর পুনরায় ট্রেন দুটি যাত্রা করে গন্তব্যে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে যাওয়া আন্তঃনগর বিজয় ও পাহাড়িকা এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন বিকলের এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ২০ মিনিটের পরিবর্তে ১ঘন্টা ৪০ মিনিট বিলম্বে সকাল ৯টা ছাড়ে। ট্রেনটি লাকসাম ষ্টেশনে পৌঁছালে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। পরে প্রায় আধঘন্টা চেষ্টার পর ট্রেনের ইঞ্জিন সচল হয়।

চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস
চট্টগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস

এদিকে ইঞ্জিন সংকটে পাহাড়িকা এক্সপ্রেস সকাল ৯টা ছাড়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে চট্টগ্রাম ত্যাগ করতে পারেনি। সিলেট থেকে ছেড়ে আসা উদয়ন এক্সপ্রেস চট্টগ্রামে পৌঁছালে ওই ইঞ্জিন দিয়ে ৩৫ মিনিট বিলম্বে সিলেট যাত্রা করে পাহাড়িকা। কিন্তু ফাজিলপুর ষ্টেশনে পৌঁছার পর সেই ট্রেনেরও একই হাল হয়। প্রায় ৩৫ মিনিট চেষ্টার পর ইঞ্জিন সচল হলে পুনরায় যাত্রা করে সিলেটের উদ্দেশ্যে।

সূত্রমতে, দীর্ঘপথ অতিক্রম করা ইঞ্জিন কমপক্ষে ৮ ঘন্টা বিরতি রাখার নিয়ম থাকলেও ইন্জিন সংকটের কারণে একই ইঞ্জিন দিয়ে ট্রেন চালাতে গিয়ে ঘটছে বিপত্তি। রেলওয়েতে সচল ইঞ্জিন রয়েছে মাত্র ৯০টি। তার মধ্যে মোটামুটি সচল ৫০টি ইঞ্জিন দিয়েই চলছে রেল।

এ ব্যাপারে রেলওয়ে মহাব্যবস্হাপক পূর্ব মো. নাসির উদ্দিন রেলওয়ের ইঞ্জিন সংকটের কথা উল্লেখ করে অচিরেই তা নিরসন হবে বলে জানান।

জেএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!