ক্রেতা ঠকানোর আয়োজন করে ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে ধরা, গুণতে হল মাশুল

পাইকারী দরে ১৮ টাকায় কেনা পেঁয়াজ বিক্রি করছিল তারা ৩২ টাকায়। তাদের অনেকেই টাঙানোর প্রয়োজন মনে করেননি পণ্যের মূল্য তালিকাও। আবার কেউ টাঙালেও পণ্যের ভাজে গুজে রেখেছে সেটি। তাই এই তালিকা পড়ে রয়েছে ক্রেতার চোখের আড়ালে।

এভাবেই আইনের তোয়াক্কা না করে ইচ্ছেমতো ক্রেতা ঠকানোর আয়োজন করেছে তারা। নগরীর কোতায়ালী থানার ফিরিঙ্গিবাজারের দোকানগুলোর চিত্র এটি।

তবে তাদের শেষ রক্ষা হয়নি। সোমবার (৬ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিল্লুর রহমানের হাতে ধরা পড়ে তাদের গুণতে হল আইন অমান্যের মাশুল। এই ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৫ দোকানদারকে করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ফিরিঙ্গি বাজারে অভিযানে গিয়ে দেখি অধিকাংশ দোকানের সামনে মূল্য তালিকা টাঙানো নেই। অবার অনেকে টাঙালেও তা দৃশ্যমান নয়। অনেকে আবার ম্যাজিস্ট্রেট আসলে মূল্য তালিকা টাঙান। ক্রেতাদের ঠকিয়ে পণ্যের অতিরিক্ত দাম নিতেই তাদের এ কারসাজি।

তিনি আরও বলেন, ‘এ বাজারে অনেক দোকানদার ১৮ টাকায় পাইকারী দরে কিনা পেঁয়াজ বিক্রি করছে ৩২ টাকায়। পণ্যের অতিরিক্ত দাম নেওয়া এবং মূল্য তালিকা যথাযথভাবে প্রদর্শন না করায় ফিরিঙ্গি বাজারের আনসার স্টোর, ইলিয়াস স্টোর, ইদ্রিস স্টোর, ঘোষ স্টোর ও সোহেল স্টোরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।’

একইদিনে ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান সিএমপির সহায়তায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন বহদ্দারহাটে। সেখানে হক মার্কেটের আজগর আলী ফার্মেসীকে অননুমোদিত ওষুধ বিক্রি, ওষুধ ও বিভিন্ন ইনজেকশন সঠিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ না করায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। শাহ আমানত ফার্মেসীকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কেনাবেচা না করার কারণে দুই হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসেবে বিভিন্ন মুদি দোকানে পণ্য দ্রব্যের দাম ঠিক আছে কিনা তদারকি করা হয়।

সিএম/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!