ক্রিকেটাঙ্গনে অসন্তুষ্টি/ধর্মঘটের পথে হাঁটতে পারেন খেলোয়াড়েরা

এক সময় লিগ আয়োজন, খেলার সুযোগ চাওয়া, বকেয়া আদায়সহ নানান কারণে অন্যান্য খেলার মতো বাংলাদেশের ক্রিকেটাররাও বিভিন্ন আন্দোলন করেছিলেন। বেশ কয়েকবার দাবি-দাওয়া নিয়ে রাজপথেও নেমেছিলেন ক্রিকেটাররা। কিন্তু বিগত বেশ কিছু বছর ধরে এসব চিত্র বাংলাদেশে দেখা যায়নি। দেশের সবচেয়ে ধনী ক্রীড়া সংগঠনে পরিণত হওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) খেলোয়াড়দের বেশ ভালো টাকা পয়সা দেন এটিই বাইরে থেকে খবর। বিশেষকরে আইসিসি থেকে মোটা অঙ্কের টাকা পাওযার পর এসব নিয়ে প্রশ্ন উঠারও কথা নয়।

তবে ভেতরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। জাতীয় লিগ, বিপিএল, প্রিমিয়ার লিগসহ বিভিন্ন খেলার ম্যাচ ফি বাড়ানোসহ বিভিন্ন বিষয়ে ফুঁসে আছেন সিনিয়র ক্রিকেটাররা। বাংলাদেশ দলের ভারত সফর দূয়ারে কড়া নাড়ছে। ঘোষণা হয়েছে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডও কিন্তু হঠাৎই এক বিষ্ফোরক আঘাত হানতে যাচ্ছে। পারিশ্রমিক নিয়ে বোর্ডের উপর অসন্তোষ প্রকাশ করা ক্রিকেটাররা ডাক দিয়েছেন সংবাদ সম্মেলনের।

বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের পারিশ্রমিক নিয়ে সবসময়ই ওঠে প্রশ্ন। পেশাদার ক্রিকেটারদের রুটি রুজির ঘরোয়া লিগে পরিবর্তন হয়না বেতন কাঠামো।

চলতি জাতীয় লিগেও আশ্বাস দিয়েও বাড়ানো হয়নি ম্যাচ ফি। আগের মতই প্রথম স্তরের ম্যাচ ফি ৩৫ হাজার ও দ্বিতীয় স্তরের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি রাখা হয়েছে ২৫ হাজারই। এ নিয়ে বেশ কয়েকজন সিনিয়র ক্রিকেটার এর আগেও জানিয়েছে অসন্তোষের কথা।

এবার বড়সড় আকার ধারণ করেছে পারিশ্রমিক ইস্যু। সোমবার (২১ অক্টোবর) সকালেই খেলোয়াড়দের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলনের ডাক দেওয়া। মিরপুরের বিসিবির একাডেমিতে এই সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সাকিব,তামিমের মত জাতীয় দলের তারকা ক্রিকেটাররা। সংবাদ সম্মেলন দুপুর দুইটার পর।

একদিকে ঘরোয়া লিগের পারিশ্রমিক না বাড়া অন্যদিকে ক্রিকেটারদের আয়ের অন্যতম উৎস বিপিএলে ফ্র‍্যাঞ্চাইজি বাদ দেওয়াতেও অসন্তোষ জন্মায়। আর তারই বহিঃপ্রকাশ হিসেবে এই ধর্মঘটের ডাক বলে ধারণা করা হচ্ছে। সূত্রমতে, গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, ভারত সফর বয়কটের ইঙ্গিতও দিয়েছে ক্রিকেটাররা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!