ক্রসফায়ার/ সিএমপি কমিশনার বললেন, আসামি নিয়ে ‘অস্ত্র উদ্ধারে’ যেতে হলে তাই করব

চট্টগ্রাম মহানগরীতে যেখানেই আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার হবে সেখানে পুলিশও সেই অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কমিশনার মাহবুবর রহমান। এমনকি তাদের সঙ্গে যদি মোকাবেলা করতে হয় তাই করবে পুলিশ।

শনিবার (১১ মে) রাতে ঘরে ঢুকে গুলি করে গৃহবধূ খুনের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে খুনি শাহ আলম নিহত হওয়ার পর যখন নগরজুড়ে ‘ক্রসফায়ার’ নিয়ে নানা আলোচনা, ঠিক এই সময়েই সোমবার (১৩ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনের এস রহমান হলে নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি আয়োজিত গাড়িচালক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সিএমপি কমিশনার মাহাবুবর রহমান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে কঠোর পুলিশিংয়ের পক্ষে। আপনারা দেখেছেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে আমরা ঘোষণা করেছি কোনো আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে কোন হত্যাকাণ্ড ঘটলে আমরা পুলিশ বাহিনী সেই আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করব। প্রয়োজনে তাকে নিয়ে যদি অস্ত্র উদ্ধার করতে যেতে হয় তাই করব। যদি তাদের মোকাবেলা করতে হয় তাই করব। আপনারা দেখেছেন গত কয়েক দিনে কয়েক মাসে সেই ব্যবস্থা কার্যকর করছি।’

২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি কেনার জন্য মিমি সুপার মার্কেটের সামনে গাড়ি ফেলে রাখে ৪-৫ ঘন্টা। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য পুলিশ যদি ২০০ টাকা জরিমানা করে ফোনটা ধরিয়ে দেয় অনেক ক্ষমতাবান লোকের কাছে। মাত্র ২০০ টাকার জরিমানা সরকারি খাতে জমা হবে। এই জরিমানা দেয়ার ইচ্ছে নাই, অথচ ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি কিনি।

পুলিশ কমিশনারের এই বক্তব্যের সময় হলভর্তি মানুষ হাততালি দিয়ে তার বক্তব্যকে সমর্থন জানান।

আইন না মানার প্রবণতার কথা তুলে ধরে পুলিশ কমিশনার আরো বলেন, ‘আমরা অসচেতন জাতি। আমরা ব্রিটিশ পুলিশ প্রত্যাশা করি, কিন্তু ব্রিটিশ নাগরিক হওয়ার ইচ্ছা আমার নেই। আমি আইন ভাঙতে পছন্দ করি। কিন্তু আমি চাই পুলিশ যেন আইনটা ঠিকমতো প্রয়োগ করে, আমি ছাড়া। ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি কেনার জন্য মিমি সুপার মার্কেটের সামনে গাড়ি ফেলে রাখে ৪-৫ ঘন্টা। ট্রাফিক আইন ভঙ্গের জন্য পুলিশ যদি ২০০ টাকা জরিমানা করে ফোনটা ধরিয়ে দেয় অনেক ক্ষমতাবান লোকের কাছে। মাত্র ২০০ টাকার জরিমানা সরকারি খাতে জমা হবে। এই জরিমানা দেয়ার ইচ্ছে নাই, অথচ ২০ হাজার টাকা দামের শাড়ি কিনি। এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।’

সমাবেশে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক-উত্তর) হারুনুর রশিদ হাযারী, উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসান, নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি এসএম আবু তৈয়ব ও সাধারণ সম্পাদক শফিক আহমেদ সাজীবসহ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সকল কর্মকর্তা ও পরিবহন মালিক, শ্রমিক সংগঠনের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!