ক্যান্সারের ঝুঁকি মোবাইল ফোনে, কমে বীর্যের সংখ্যাও— গবেষণায় মিলল ফলাফল

মোবাইল ফোন এখন জীবনেরই একটি অনিবার্য অংশ হলেও এর বড় বিপদও আছে। মোবাইল ফোনে অতিরিক্ত কথা বললে মস্তিষ্কে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কোরিয়ার একদল গবেষকের গবেষণায় বলা হয়েছে, বেশি সময় ধরে উচ্চমাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কমে যেতে পারে বীর্যের সংখ্যা ও কর্মশক্তি। হতে পারে মাথাব্যথাও।

ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়ার ‘বার্কেলি স্কুল অফ পাবলিক হেলথের সঙ্গে কোরিয়ার ন্যাশনাল ক্যান্সার সেন্টার ও সিউল ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত এই গবেষণায় দাবি করা হচ্ছে, ফোন ব্যবহারের সঙ্গে টিউমার তৈরি হওয়ার সম্পর্ক রয়েছে।

‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত ওই গবেষণায় বলা হয়, যদি ১ হাজার ঘণ্টা অথবা প্রতিদিন প্রায় ১৭ মিনিট ফোনে কথা বলা হয়, আর সেটা ১০ বছর ধরে করে যায় তবে মস্তিষ্কে টিউমার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে ৬০ শতাংশ।

‘আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি’র মতে মোবাইল ফোন ব্যবহার ঝুঁকির এই কারণ হল, ‘রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ওয়েভস’। যা ব্যবহার করে ফোনে কথা বলা হয়। এই বেতার তরঙ্গ শুধু মস্তিষ্কের নয়, মাথা ও ঘাড়েও টিউমার হওয়ারও ঝুঁকি বাড়ায়। কারণ কথা বলার সময় ফোন মাথা, কান, ঘাড় ও গলার কাছাকাছি থাকে।

প্রধান গবেষক জোয়েল মস্কোয়েটজ ফোন এবং টাওয়ার যে তাপ বিকিরণ (রেডিয়েশন) করে সেটার ঝুঁকি নির্ধারণ করা নিয়ে কাজ করেন। এই বিষয়ে তিনি ২০০৯ সাল থেকে গবেষণা চালিয়ে আসছেন।

জোয়েল মস্কোয়েটজ বলছেন, ‘বিভিন্ন রকম স্বাস্থ্য সমস্যায় মোবাইল ফোনের ব্যবহার চিহ্নিত করা হলেও বৈজ্ঞানিক সমাজে এটি খুবই কমই গুরুত্ব পেয়েছে।’

অনেকেরই ধারণা হতে পারে, ১০ বছর অনেক বেশি সময়। তাছাড়া প্রতিদিন ১৭ মিনিটও কথা বলা হয় না। তাহলে তো সমস্যা হওয়ারও কথা নয়। কিন্তু ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অফ পাবলিক হেলথের গবেষকর বলছেন, মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার থেকেও বিভিন্ন রকম সমস্যা তৈরি হওয়ার ইঙ্গিত মিলেছে।

তারা বলছেন, বেশি সময় ধরে উচ্চমাত্রায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে কমে যেতে পারে বীর্যের সংখ্যা ও কর্মশক্তি। এছাড়া হতে পারে মাথাব্যথা। পাশাপাশি মোবাইল ফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার নেতিবাচক প্রভাব ফেলে পড়াশোনা, স্মরণশক্তি, শ্রবণশক্তি, আচার-আচরণ আর এমনকি ঘুমের ওপরেও।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!