ক্যানসারের কাছে হার মানলেন চবির সাইমুম

দীর্ঘ সাত বছর ক্যানসারের সাথে টানা যুদ্ধ করেছেন। বারবার ক্যানসারকে পরাজিত করে ফিরে এসেছেন ক্লাসরুমে। বছরের অধিকাংশ সময় বিদেশের মাটিতে হাসপাতালের বেডে কাটিয়েও তুখোর মেধার স্বাক্ষর রেখে স্নাতকে অর্জন করেছেন তৃতীয় স্থান। ইচ্ছা ছিল বিদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করবেন। কিন্তু সেই ইচ্ছা আর পূরণ হলো না চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অদম্য মেধাবী সাইমুমের।

বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। চট্টগ্রাম নগরীর টাইগার পাস মোড়ের মামা-ভাগিনা মসজিদে জোহরের নামাজের পর প্রথম ও গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া মৌলভীর দোকান এলাকায় রুস্তমপাড়ায় দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সাইমুমের সহপাঠীরা জানান, ২০১৫ সালে সাইমুম যখন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষে তখনই তাঁর প্রথম ক্যান্সার ধরা পড়ে। হাঁটুতে জটিল অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে একটি কৃত্রিম অঙ্গ দ্বারা সচল হয় সে। ক্রাচে ভর দিয়ে যুদ্ধটা জারি রেখেছিল সে। বছরে দু’বার ভারতে চিকিৎসার জন্য দীর্ঘদিন অবস্থান করে এসেও একাডেমিক ফলাফলে তুমুল মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছিল সে। চিকিৎসার জন্য ভারতে থাকায় প্রথম বর্ষের পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি তিনি। পরে স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে তৃতীয় স্থান অধিকার করেছিলেন।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সভাপতি ড. মো. শহীদুল হক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা এক অদম্য মেধাবীকে হারালাম। শিক্ষার্থী হিসেবে সাইমুম ছিল অসম্ভব মেধাবী ও বিনয়ী। ক্যানসারের সাথে রীতিমতো যুদ্ধ করেও সে ফলাফলে প্রথমদিকে ছিল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন।’

এমআইটি/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!