কৌশল পাল্টে সাগর থেকেই চুরি হচ্ছে তেল, চট্টগ্রামে লাগাম এখনও হারুন সিন্ডিকেটের হাতেই

চট্টগ্রামে বিদেশ থেকে আমদানি করা অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের বড় অংশ চলে যাচ্ছে চোরাকারবারিদের হাতে। নৌপুলিশের অভিযানের পরও দমানো যাচ্ছে না এই চক্রকে। এবার তারা নদী থেকে চুরি না করে সরাসরি সাগর থেকেই তেল চুরি করছে।

ধরা পড়ে জেলে গেলেও উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়ে ফের তেল চুরিতে মেতে ওঠে এই চক্রের নিয়ন্ত্রকরা। আর এই চোরচক্র এখনও নিয়ন্ত্রণ করছেন তানিশা এন্টারপ্রাইজ লাইটারেজ জাহাজের মালিক হারুন উর রশিদ, আশিক কামাল ও জাহিদ হাসান।

এর আগে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাতে সদরঘাট নৌপুলিশের হাতে শ্রমিকসহ পাঁচ তেল চোর আটক হয়। সঙ্গে লাইটারেজ জাহাজের সাত কর্মীকেও আটক করা হয়।

এ ঘটনায় আটক ১২ জনসহ মোট ১৪ জনের বিরুদ্ধে পতেঙ্গা থানায় মামলা করে পুলিশ। ওই সময় চোরচক্র পতেঙ্গার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা থেকে শবনম-৪ নামের একটি অয়েল ট্যাংকার থেকে তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামের লাইটারেজ জাহাজে তেল নেওয়া হয়েছিল। এরপর তা ভাউজারে নেওয়া হচ্ছিল।

পুলিশের মামলায় আসামি করা হয় লাইটারেজ জাহাজ তানিশা এন্টারপ্রাইজের মালিক হারুনর উর রশিদ ও পালিয়ে যাওয়া লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক জসীম উদ্দিনকেও। কিন্তু মামলা করা হলেও জামিনে বেরিয়ে আবারও তেল চুরিতে মেতে ওঠেন তারা।

জানা যায়, তানিশা এন্টারপ্রাইজ নামের লাইটারেজ জাহাজের মালিক হারুন উর রশিদ, আশিক কামাল ও জাহিদ হাসান চোরচক্রের মূলহোতা।

এ বিষয়ে নৌপুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম মিজানুর রহমান বলেন, ‘আমাদের পর্যাপ্ত লজিস্টিক সাপোর্ট নেই। আমাদের স্পিডবোটের নেভাল একাডেমির পেছনের লাল বয়ার বাইরে যাওয়ার সক্ষমতা নেই। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে চোরচক্র এখন সাগরে গিয়ে চুরি করছে।’

ওসি বলেন, ‘চক্রের মূল হোতা হারুন-জসিম পলাতক। গ্রেপ্তার আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে জামিন নিয়েছে।তারা জব্দ দুটি ভাউজার চেয়ে আবেদন করেছে। তবে আদালত শুনানি করেননি। মূলত জাহাজের ক্রুদের ম্যানেজ করেই তেল চুরি করা হয়। আমদানিকারকরা চুরি যাওয়া এই তেল সিস্টেম লস দেখিয়ে দাম বাড়িয়ে দেন। এতে সরকারও হারাচ্ছে রাজস্ব।’

জব্দ তেলের নমুনা বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) পরীক্ষা করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, ‘এগুলো রিফাইন সয়াবিন ও পাম অয়েল হিসেবে সার্টিফাইড করেছে বিসিএসআইআর।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!