কোয়ারেন্টাইনে ৫০, লকডাউনে লামা আলীকদম নাইক্ষ্যংছড়ি

বান্দরবান পার্বত্য জেলার তিন উপজেলাকে লকডাউন করেছে জেলা প্রশাসন। উপজেলাগুলো হলো জেলার লামা, আলীকদম ও নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা। এর ফলে এসব এলাকায় কেউ ঢুকতে পারবেন না, আবার কেউ বের হতেও পারবেন না। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম হোসেন।

তিনি বলেন, বান্দরবানের পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজারে করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়ার কারণে বান্দরবান জেলার তিন উপজেলা লকডাউন করা হয়েছে।

এদিকে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বান্দরবানে সেনাবাহিনী সদস্যরা কাজ করছে। মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) দুপুর থেকে সেনা টহলের পাশাপাশি লিফলেট বিতরণ ও মাইকিং করে লোকজনকে সচেতন করছেন সেনাসদস্যরা। এছাড়া লোক সমাগম হয় এমন দোকান, হোটেল, শপিংমল বন্ধ করে দিচ্ছেন তারা। করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বান্দরবান শহর এখন অনেকটাই ফাঁকা হয়ে পড়েছে। সড়কগুলোতে সীমিত আকারে যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।

অন্যদিকে মঙ্গলবার বিকালে জেলায় করোনা প্রতিরোধে বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৩০০ জন স্বেচ্ছাসেবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। তাদের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে স্প্রে, গ্লাভস, জ্যাকেটসহ অন্যান্য সরঞ্জাম। বান্দরবান জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্বেচ্ছাসেবকদের এসব সরঞ্জাম বিতরণ করেন। স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকরা স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ দেন।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা জানান, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত স্বেচ্ছাসেবকরা জেলার সাতটি উপজেলায় ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি প্রতিটি জনবহুল স্পটে স্প্রে করার কাজ করবে।

স্বাস্থ্য বিভাগ জানিয়েছে, এ পর্যন্ত বান্দরবানে ৫০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এদের মধ্যে ৯ জন হাসপাতালে, বাকি ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টাইনে। বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীদের মনিটরিং করা হচ্ছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!