কোর্ট বিল্ডিং এলাকার ফটোকপির দোকানে জাল খতিয়ানের ব্যবসা

জেলা প্রশাসনের অভিযানে একজনের ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় ফটোকপির দোকানের আড়ালে চলছিল জাল খতিয়ান তৈরি অবৈধ ব্যবসা। একটি জাল খতিয়ানের সূত্র ধরে হঠাৎ অভিযান চালিয়ে একজনকে আটক করে তাকে সাতদিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। কারাদণ্ড পাওয়া ওই ব্যক্তির নাম মো. আনিস উদ্দিন (১৮)। তবে অভিযানের খবর পেয়ে অপর অভিযুক্ত পালিয়ে গেলে তাকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

জানা গেছে, শাহ আলাউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি একটি খতিয়ান নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রেকর্ড রুম শাখার সহকারী কমিশনার মো. আশরাফুল আলমের কাছে আসেন। সহকারী কমিশনার ওই খতিয়ানটি দেখে জাল খতিয়ান হিসেবে শনাক্ত করে তার কাছে ওই খতিয়ানটির উৎস জানতে চান। শাহ আলাউদ্দিন খতিয়ানটি কোর্ট বিল্ডিং এলাকার ‘চন্দনাইশ ফটোকপি’ দোকানের কর্মচারীর কাছ থেকে নিয়েছেন বলে জানান। তার স্বীকারোক্তিতে তাৎক্ষণিক অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। এ সময় মো. আনিস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে সাতদিনের বিনাশ্রম কারদণ্ড দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন জানান, কোর্ট বিল্ডিং এলাকায় ফটোকপির দোকানে চাকরির আড়ালে মো. আনিস উদ্দিন জাল খতিয়ানের ব্যবসা করে আসছিল। তবে এ জালিয়াতির মূল হল সন্দীপ জেলার গাছুয়া এলাকার মো. আবুল বাসারের ছেলে মো. আজম (২৮)। আজম দীর্ঘদিন ধরে জাল খতিয়ান তৈরি করে ও আনিসসহ অন্যদের মাধ্যমে সেগুলো বিক্রি করে। অভিযানের খবর পেয়ে আজম পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।

সিএম/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!