কোরবানির হাটে দরকষাকষি নয়, দুজনের বেশি লোকও আসা যাবে না

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে এবারের কোরবানির পশুর হাটে কড়া নজরদারি করবে সরকার। এর ফলে একসঙ্গে দুজনের বেশি লোক হাটে ঢুকতে পারবেন না। দরকষাকষি করে নেওয়া যাবে না বেশি সময়ও। এছাড়া প্রতিটি হাটের তিন দিকে থাকবে তিনটি গেট।

রোববার (১১ জুলাই) জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কোরবানির পশুর হাটের তিন দিকে রাখা হবে আলাদা আলাদা তিনটি গেট। এর একদিক দিয়ে ক্রেতারা ঢুকবেন, আরেক গেট দিয়ে গরু কিনে বের হয়ে যাবেন। এর বাইরে আরেকটি গেট থাকবে শুধু পশু প্রবেশ করানোর জন্য।

জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সবকিছু যাতে সুশৃঙ্খল ও সুরক্ষিতভাবে করা যায় সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে হাটগুলোতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। হাটগুলো নিরাপদ স্থানে হতে হবে এবং তিনটি গেট থাকবে।

তিনি বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবক দল, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং হাট কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করবে। হাটে একা আসাকে আমরা উৎসাহিত করছি। কিন্তু সর্বোচ্চ দুজনের বেশি অ্যালাউ করা যাবে না। ক্রেতাদের মাথায় রাখতে হবে, যেভাবে সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে তাতে তিনি বা তারা যেকোনো সময় সংক্রমিত হতে পারেন। আমরা চাই অতিরিক্ত মানুষ যাতে হাটে না আসে এবং যারা আসবে তারা যেন দ্রুত গরু কিনে বেরিয়ে যায়।’

ফরহাদ হোসেন আরও বলেন, ‘ গতবছর যেমন ২৫% ডিজিটাল হাট করতে পেরেছি, এবারও অনলাইনে হাট জনপ্রিয় করার দিকে জোর দিচ্ছি। ডিজিটাল মার্কেটে ক্রেতাদের নিয়ে যেতে ওয়েবসাইটগুলোকে সহজ করেছি। যাতে গরুর ওজন এবং মূল্য সঠিক থাকে এবং ন্যায্য দামে কিনতে পারে সেজন্য বিক্রেতাদের বলা হয়েছে। অন্যদিকে যারা হাটে গরু কিনতে যাবেন তাদের ক্ষেত্রেও এই নির্দেশনা যে, ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করতে হবে। যাতে ক্রেতাদের দরকষাকষি করতে না হয়। পশু কিনে যাতে দ্রুত বেরিয়ে যেতে পারেন।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!