কোরবানির পশুর হাটে কাজ করবে ভেটেরিনারি টিম

চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার ৬৩টি স্থায়ী এবং ১৪৬টি অস্থায়ী কোরবানির পশুরহাটে ৩ থেকে ১১ সদস্যের ৭১টি ভেটেরিনারি টিম কাজ করবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক।

বুধবার (৭ আগস্ট) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের এস রহমান হলে ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুরহাটে ভেটেরিনারি মেডিকেল টিমের কার্যক্রম বিষয়ক কর্মশালা ও সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়া খুলশীতে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ (০১৮৫৯২৫৫১৫১, ০১৭২০৮৮২২৮২) চালু করা হয়েছে বলে জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক বলেন, নগর ও জেলার ৬৩টি স্থায়ী এবং ১৪৬টি অস্থায়ী কোরবানির পশুরহাট রয়েছে। এর মধ্যে নগরে ৮টি পশুর হাট রয়েছে। এসব হাট থেকে সাধারণ মানুষ যাতে নিরাপদ পশু কিনতে পারে, অসাধু খামারিরা যাতে রোগা, অসুস্থ পশু বিক্রি করে ঠকাতে না পারে সে দিকে নজর রাখবে ভেটেরিনারি টিম।

তিনি বলেন, পশুর ধকলজনিত পানিস্বল্পতা, জ্বর, ব্যথা, পরিবহনকালীন ট্রমাটিক ইনজুরি, সাধারণ ক্ষুধামন্দায় চিকিৎসা ও পরামর্শ দেবে ভেটেরিনারি টিম।

পশু জবাই ও মাংস প্রক্রিয়াকরণ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলায় ২০৯ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা।

ডা. মোহাম্মদ রেয়াজুল হক জানান, চট্টগ্রামে ৭ হাজার ৫৭টি খামারে ৬ লাখ ১০ হাজার ২১৯টি পশু রয়েছে। এর মধ্যে ৪ লাখ ১৪ হাজার ৩৮৭টি গরু, ৪২ হাজার ২৮৪টি মহিষ এবং ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮টি ছাগল ও ভেড়া রয়েছে। এবার চট্টগ্রামে ৭ লাখ ২০ হাজার সম্ভাব্য কোরবানি পশুর প্রয়োজন। এর মধ্যে গরু মহিষের চাহিদা ৪ লাখ ৬২ হাজার ৬১৭টি, ছাগল ভেড়া ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৪৮টি।

বিভিন্ন জেলা থেকে ২ লাখের বেশি পশু চট্টগ্রামে পৌঁছেছে। তাই এবার চট্টগ্রামে কোরবানির পশুর ঘাটতি নেই বলে জানান তিনি।

অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের উপ-পরিচালক ডা. মো. ফরহাদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিভাসুর পরিচালক (বহিরাঙ্গন কার্যক্রম) ডা. একেএম সাইফুদ্দিন, জেলা বিশেষ শাখার ওসি (ওয়াচ) মোহাম্মদ মজিবুর রহমান, কনজুমারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন।

নুসরাত/আরিফ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!