কেঁদে ফেললেন মোসলেম উদ্দীন

মহানগর আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভাটাই ছিল ৮ আসনে দলীয় প্রার্থীর বিজয়ে একযোগে কাজ করার ক্ষেত্র প্রস্তুত করার জন্য। এ লক্ষ্য অর্জনের নানাদিক নিয়ে কথা বললেন দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বক্তারা একাট্টা হয়ে কাজ করার অঙ্গীকারও করলেন। প্রার্থী মোসলেম উদ্দীনও বক্তব্য রাখলেন। এক পর্যায়ে কেঁদেই ফেললেন মোসলেম।

ভেজা কন্ঠে তিনি বলেন, বয়স এখন আমার সত্তর। দলকে ভালোবেসে কাজ করে চলেছি। জীবনের এ সময়ের দলের সিদ্ধান্তে নির্বাচন করছি। বিজয়ে আপনাদের সকলকে পাশে চাই। আমার আর কোন চাওয়া নাই। আমি নৌকার, আর নৌকা বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনার। কাছেরজনকে আরো কাছে টানতে অনেক সময় আবেগে কথা ভিজে যায়। মোসলেমও জীবনের এ সময়ের নির্বাচনে এসে অশ্রুসিক্ত হলেন।

বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের মতে, মঈনুদ্দিন খান বাদলের রেখে যাওয়া আসনে উপ-নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন ও প্রার্থীদের আয়োজনের কমতি নেই। কিন্তু ‘বিশেষ ধরনের নির্বাচন’ দেখতে অভ্যস্ত হয়ে যাওয়া ভোটারদের অনীহাও চোখে পড়ার মতো। তবুও স্থানীয় লোকজন ও পর্যবেক্ষকদের ধারণা নতুন বছরে, যদি পুরানো প্রবণতার পুনরাবৃত্তি না হয় তবে উৎসবপ্রিয় জনগণ ৮ আসনের ভোট উৎসবে মেতে উঠবেন৷ তখন অপেক্ষাকৃত তরুণ ও কিছুটা আত্নবিশ্বাসী প্রতিপক্ষ সুফিয়ানকে আরো বেশি শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবতে হবে প্রবীণ এ আওয়ামী লীগ নেতাকে। তবে বর্ধিত সভায় উপস্থিত সকলেই মনে করেন যে যার অবস্থানে থেকে কাজ করলে মোসলেম উদ্দীনের আবেদন সৃষ্টিকারী এ কান্না শেষ পর্যন্ত আনন্দ অশ্রুতে পরিণত হতে পারে। অবশ্য ৮ আসনে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেওয়ার অঙ্গীকার করে গেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারও।

নগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিনের সভাপতিত্বে বুধবার (১ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া এ বর্ধিত সভায় নগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি নাঈম উদ্দীন চৌধুরী, আফসারুল আমীন এমপি, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, জহিরুল আলম দোভাষসহ কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, ১৫ থানা ও ৪৩ সাংগঠনিক ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক আহ্বায়ক যুগ্ম আহ্বায়কবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেডআই/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!