কুতুবদিয়ার ওসির বিরুদ্ধে দুদকে সাক্ষ্য, হামলার শিকার দুজন

বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান ছোটনসহ গ্রেপ্তার ৪

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌসের দুর্নীতি নিয়ে দুদক কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়েছেন দুই ব্যক্তি। হামলার এই ঘটনায় কুতুবদিয়ার বড়ঘোপ ইউপি চেয়ারম্যান আ ন ম শহিদ উদ্দিন ছোটনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা পরিষদের সামনে হামলার এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন কুতুবদিয়া উপজেলার ৪ নম্বর খৈয়ারবিল ইউনিয়নের আনো হাজি পাড়ার মৃত লাল মিয়ার পুত্র রুহুল আমিন (৬০)। অপরজন একই উপজেলার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রোড পাড়ার মৃত সিদ্দিক আহমদের পুত্র দেলোয়ার হোসেন।

২০১৮ সালে ৮ আগস্ট বিচার প্রার্থীদের হয়রানি ও মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও দখল বাণিজ্য ও উপজেলায় একচেটিয়ায় ত্রাস সৃষ্টি করার অভিযোগে কুতুবদিয়ার থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌস, এসআই জয়নাল আবেদীন ও এএসআই সজল দাশের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) প্রধান কার্যালয়ের বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের কুতুবদিয়া শাখার সভাপতি মনোয়ার ইসলাম চৌধুরী মুকুল। শনিবার (৩০ নভেম্বর) প্রধান কার্যালয়ের নিদের্শক্রমে দুদক জেলা সমন্বিত কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক শরীফ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি এনফোর্সমেন্ট টিম তদন্ত করতে যান কুতুবদিয়ার উপজেলা পরিষদ এলাকায়।

স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া থানার ওসি দিদারুল ফেরদৌসের দুর্নীতি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) তদন্ত কর্মকর্তার কাছে সাক্ষ্য দিতে যান রুহুল আমিন ও দেলোয়ার হোসেন। বিকেলে সেখান থেকে ফেরার পথে হামলা শিকার হন দুজনই। কেন ওসি বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছিস— এমন প্রশ্ন করে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করা হয় দুজনকে। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করেন। হামলায় নেতৃত্ব দেন বড়ঘোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শহিদ উদ্দিন ছোটন এবং ৪ নম্বর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজমগীর মাতব্বর।

পরে আহত দু’জন থানায় যান। সেখান থেকে পুলিশের সহযোগিতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তারা।

এ বিষয়ে জানতে বড়ঘোপ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আ ন ম শহিদ উদ্দিন ছোটনের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি হাসপাতালে আছেন বলে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিদারুল ফেরদৌস চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, হামলার ঘটনায় দু’পক্ষের চারজন আহত হয়েছে। সেখান থেকে আহত রুহুল আমিন ও দেলোয়ার হোসেন থানায় আসলে আমি তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করিয়ে দিই। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে দুজন বাড়ি চলে গেছে। এ বিষয়ে এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!