কিস্তির টাকা দিতে না পেরে নারীর আত্মহত্যা হাটহাজারীতে

হাটহাজারীতে রুপণা শর্মা (৩৮) নামের এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এনজিওর ঋণের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারার মানসিক চাপে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে পুলিশ চট্টগ্রামের হাটহাজারীর উত্তর মেখলের রশিক ডাক্তারের বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, ৩ সন্তানের মা রুপণা শর্মা কক্সবাজার রামু উপজেলার খাওয়ারপুর এলাকার অরুণ কুমারের স্ত্রী এবং উত্তর মেখলের রশিক ডাক্তারের বাড়ির মৃত চন্দ্র মোহনের মেয়ে। বিয়ের পর থেকেই তিনি পিতার বাড়ি উত্তর মেখল মোজাফফরপুর এলাকার রশিক ডাক্তারের বাড়িতে থাকেন। তার স্বামী একটি সেলুনে কাজ করেন।

পারিবারিক ও পুলিশ সূত্র বলছে, পারিবারিক প্রয়োজনে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশা, গ্রামীণ, মুক্তিপত, ঘাসফুল, সাজাদা, ব্রাক, প্রত্যাশাসহ বিভিন্নজনের কাছ থেকে প্রায় ৮ লাখ টাকা ঋণ নেয় রুপনা।

নিহতের বড় মেয়ে এইসএসসি পরীক্ষার্থী জবা শর্মার সাথে কথা বলে জানা যায়, আগে নিয়মিত কিস্তি পরিশোধ করলেও করোনা মহামারির কারণে স্বামীর নিয়মিত কাজ না থাকায় সঠিক সময়ে কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে ব্যর্থ হন। করোনার সময় সরকারিভাবে ঋণের কিস্তি সংগ্রহে বিধিনিষেধ আসায় কিস্তি না দিলেও করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে প্রতিদিন কিস্তির টাকা দিতে হয় রুপনা শর্মাকে। আর তাতেই চরম মানসিক চাপে পড়ে রুপনা শর্মা। এ কারণেই আত্মহত্যা করেছেন তিনি।

সোমবার (২১ সেপ্টেম্বর) রাতে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এদিকে ইউপি সদস্য কাইয়ুম মেম্বার থানা পুলিশকে খবর দিলে হাটহাজারী মডেল থানার এসআই মুজাহিদ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশের সুরতহাল রির্পোট তৈরি করে মর্গে পাঠিয়ে দেয়।

হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মাসুদ আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি একটি আত্মহত্যার ঘটনা। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এআরটি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!