‘কিন্ডারগার্টেন স্কুল’ শিক্ষার্থীদের জড়ো করে পরীক্ষা—পুলিশ আসার খবরে পালালেন অধ্যক্ষ

করোনাকালে সরকারি আদেশ অমান্য করে চট্টগ্রামের বায়েজিদ এলাকার একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলে শিক্ষার্থীদের জড়ো করে পরীক্ষা নিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এভাবে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকির মুখে ফেলায় অভিভাবক ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। তবে পুলিশ আসার খবরে পালিয়ে যান অধ্যক্ষ।

শনিবার (১০ এপ্রিল) সকাল ৭টায় শেরশাহ কলোনি বাংলা বাজারের ডেবার পাড় এলাকায় পূর্বাচল আডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে (প্লে থেকে দশম শ্রেণীর) এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সরেজমিনে স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, সকাল সাতটা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে। স্কুলের একাধিক রুমে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছে। খুদে শিক্ষার্থীদের অধিকাংশের মুখে মাস্ক নেই। অনুসরণ করা হয়নি কোন স্বাস্থ্যবিধি।

তবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া আগে বাধ্যতামূলক বছরের সব ফি আদায় করতে হয়েছে। এতে অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে৷ তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, স্কুলের শিক্ষকেরা নিজেদের বেতন আদায়ের জন্য শিক্ষার্থীদের ঝুঁকিতে ফেলে পরীক্ষা নিয়েছে। অথচ এটি কোন গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষা নয়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষকের সাথে আলাপকালে জানা যায়, স্কুলে বিশজন শিক্ষকের বেতন ও মাসে ত্রিশ হাজার টাকা ঘর ভাড়া সহ অনেক টাকা প্রতিমাসে খরচ হয়। এ টাকা বহনে তারা আর্থিক সংকটে পড়েছেন। তাই খরচ মেটাতে এই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, স্কুলের অধ্যক্ষ মো. আব্বাস উদ্দিন, তার স্ত্রী ও ভাই মিলে এ স্কুল পরিচালনা করেন। পরে খবর পেয়ে বায়েজিদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন ও অন্যান্য শিক্ষকরা তড়িঘড়ি করে স্কুল কার্যক্রম বন্ধ করে পালিয়ে যান।

এ ব্যাপারে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা প্রিটন সরকার বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। যে পুলিশ কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন তিনি এ বিষয়ে বলতে পারবেন। করোনাকালে সরকারি আদেশ অমান্য করে স্কুল খোলা কেন এমন প্রশ্ন করা হলে স্কুলের অধ্যক্ষ আব্বাস উদ্দিন কোন মন্তব্য না করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।

সিএম/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!