কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় আগস্টে, কমেছে প্রবৃদ্ধিও

চলতি ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের দ্বিতীয় মাস আগস্টে রাজস্ব আদায়ে বিপর্যয় ঘটেছে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে। আগস্ট মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২ হাজার ১ শ ৮৮.৫৮ কোটি টাকা কম আদায় হয়েছে। সেই সাথে কমেছে প্রবৃদ্ধির পরিমাণও। কাস্টম হাউজ বলছে ঈদুল আজহার টানা ছুটির সঙ্গে চট্টগ্রামে কয়েকদিনের লাগাতার যানজটের কারণে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কম হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থ-বছরের আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৫ হাজার ১ শ ১৫.৪৯ কোটি টাকা। এই লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে দুই হাজার ৯ শ ২৬. ৯১ কোটি টাকা।

রাজস্ব আদায়ের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অর্জনের ব্যবধান ৪২.৭৮ ভাগ কম। স্বাভাবিকভাবে গত অর্থ-বছরের তুলনায় প্রবৃদ্ধি যেখানে বাড়ার কথা সেখানেও কমে গেছে প্রবৃদ্ধির হার।

২০১৮-১৯ অর্থ-বছরের আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় হয়েছিলো ৩ হাজার ৪ শ ৬০.৫৫ কোটি টাকা। ২০১৯-২০ অর্থ-বছরে আগস্ট মাসে প্রবৃদ্ধি কমেছে ১৫.৪২ ভাগ কম। অথচ চলতি অর্থ-বছরের প্রথম জুলাই মাসে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছিলো ১২.৪৫ ভাগ বেশি।

মাত্র ১ মাসের ব্যবধানে প্রবৃদ্ধি অর্জনের এই নেতিবাচক ধারাকে চলতি অর্থ-বছরের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বড় বাধা হিসেবে দেখছেন কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন এমনিতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয় তার শতভাগ লক্ষ্য পুরণ কোন অর্থ-বছরেই হয়না। লক্ষ্য পুরণ শতভাগ অর্জিত না হলেও প্রতি অর্থ-বছরে প্রবৃদ্ধি অর্জন উর্ধমুখী থাকে। সেই বিবেচনায় অর্থ-বছরের দ্বিতীয় মাসে বড় ধরনের বিপর্যয় কাটিয়ে কতটুকু আগামির লক্ষ্যমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে পারবে সেটিই এখন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের একাধিক কর্মকর্তা জানান, এবার ঈদুল আজহার টানা ছুটি ছিলো। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজ শুল্কায়নের জন্য শতভাগ প্রস্তুত থাকলেও অপরাপর সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সচল ছিলোনা। যার ফলে টানা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে শুল্কায়ন বন্ধ ছিলো। সেই সাথে টানা বৃষ্টি, এবং সীমাহীন যানজটও পণ্য খালাস এবং শুল্কায়নে বাধার সৃষ্টি করে। সবকিছু মিলিয়ে অন্য যেকোন মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায় কম হয়েছে।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের কমিশনার ফখরুল আলম বলেন, আগস্ট মাসে ঈদের টানা ছুটি ছিলো। সেই সাথে বৃষ্টিপাতের কারণে পণ্য এক্সামিন (পরীক্ষা), শুল্কায়নও বাধাগ্রস্ত হয়। এসব কারণে অন্য যেকোন মাসের তুলনায় আগস্ট মাসে রাজস্ব আদায়ের পরিমাণ কম হয়। অর্থ-বছরের সামনের মাসগুলোতে এই ঘাটতি কাটিয়ে উঠতে প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে বলে মন্তব্য করেন কাস্টম কমিশনার।

এসসি/এসএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!