চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে যুগোপযোগী করা হবে

অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, দেশের ৬০ শতাংশ রাজস্ব চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস দিয়ে আহরণ হয়। এ কাস্টমস হাউসকে আরো যুগোপযোগী করা হবে। নতুন স্কেনারসহ আরো আধুনিক যন্ত্রপাতিসমৃদ্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বন্দরের জেনারেল কার্গো বার্থের (জিসিবি) ১ নম্বর গেট এবং নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) ৩ গেটে স্থাপিত ‘এফএস ৬০০০’ সিরিজের অত্যাধুনিক ফিক্সড কনটেইনার স্ক্যানার উদ্বোধনকালে তিনি এ গুরুত্বারোপ করেন।

উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআরের সদস্য (শুল্ক নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান।

তিনি বলেন, কনটেইনার হ্যান্ডলিং হলো মূলত বন্দরের কাজ। আমরা এখানে কেবল সহায়ক ভূমিকা রাখি। সরকারের রাজস্ব আহরণ করি। এ স্ক্যানারগুলো আমদানি ও রপ্তানি কাজে ব্যবহৃত কনটেইনার স্ক্যান করতে সক্ষম।

চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টম হাউসের মধ্যে সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।

এ সময় চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. ফখরুল আলম, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর এম শফিউল বারী, বন্দর ব্যবহারকারী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসকে যুগোপযোগী করা হবে 1

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস সূত্রে জানা গেছে, নতুন স্ক্যানার দুইটি ‘বোথ ওয়ে’ স্ক্যান ডিরেকশনে স্ক্যানিং করতে সক্ষম। এর ফলে আমদানি ও রফতানি কনটেইনার স্ক্যানিং করা যাবে। প্রতিটি স্ক্যানার ঘণ্টায় শতাধিক কনটেইনার স্ক্যানিং করতে পারবে।

এ ধরনের স্ক্যানারে জৈব, অজৈব, ধাতব, প্লাস্টিক, বিভিন্ন পণ্যের রঙের স্ক্যান ইমেজ (ছবি) পাওয়া যাবে। তাই স্ক্যান করা কনটেইনারের পণ্যের পার্থক্য নিরূপণ ও সঠিকতা যাচাই সহজ ও দ্রুততর হবে।

শুল্কফাঁকি, চোরাচালান, মিথ্যা ঘোষণা রোধ, ঝুঁকিমুক্ত আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে আরও ৭টি কনটেইনার স্ক্যানার স্থাপনের পরিকল্পনা ও প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

এএস/এসএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!