কাস্টমস-সিমেন্ট ক্রসিং ৪ কিলোমিটার ভাঙা সড়কে বেহাল দশা, যানজট চরমে

রাতভর গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি আর সড়কজুড়ে গর্তের কারণে চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেড এলাকা জলজট ও যানজটে একাকার। ফলে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ভোগান্তিতে পড়েছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

সরেজমিনে শনিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে ২টায় ইপিজেড থানার সিমেন্টক্রসিং থেকে ও বন্দর থানার কাস্টম মোড় এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ৪ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট। সড়কের দুপাশের ফুটপাতে পথচারিদের ভিড়। অনেকে ভিড় ঠেলে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে ফিরছেন।

সিমেন্টক্রসিং-নিউমার্কেটগামী একাধিক গণপরিবহন যাত্রীরা বলেন, গাড়িতে সিমেন্টক্রসিং থেকে কাস্টম মোড় যেতে সর্বোচ্চ সময় লাগে ১৫-২০ মিনিট। সেখানে দেড় ঘন্টা পরও গাড়ি জায়গাতেই রয়ে গেছে। সড়কে এক তো বড় বড় গর্ত তারওপর বৃষ্টি আর জোয়ারের পানিতে সয়লাব। দীর্ঘ যানজটের কারণে যথাসময়ে গন্তব্যে পৌঁছে কোনও কাজই করা যাচ্ছে না।

চাকরিজীবীদের অনেকে জানান, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নির্মাণ শুরুর পর থেকে নগরীর সিমেন্টক্রসিং, বন্দরটিলা, ফ্রিপোর্ট ও সল্টগোলা ও কাস্টম এলাকায় যানজট লেগে আছে। একটু বৃষ্টি হলেই আর কথা নেই। দীর্ঘ যানজটের ভোগান্তি অসহনীয় হয়ে উঠে। এ কারণে প্রয়োজনীয় কাজেও বাসা থেকে অনেকে বেরুতে চাইছে না।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (বন্দরজোন) পরিদর্শক মো. পারভেজ বলেন, ভোর থেকে টানা বৃষ্টির কারণে দুপুর পর্যন্ত যানজট থাকলেও দুপুরে পর থেকে সল্টগোলা, বন্দর-কাস্টম এলাকায় যানজট অনেকটা স্বাভাবিক হয়েছে। তবে আজকে বন্দরের পণ্যবাহী গাড়ির চাপ কম ছিল।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগের (বন্দরজোন) পরিদর্শক সেলিমুর রহমান বলেন, সড়কের একটা অংশ এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্সের দখলে। সেখানে টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির কারণে খানাখন্দে ভরা সড়কটি যান চলাচলে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। এসব নানা কারণে সৃষ্ট যানজট নিরসনে ট্রাফিক সদস্যরা রীতিমত হিমশিম খাচ্ছে সকাল থেকে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি চসিকের প্রশাসক খোরশেদুল আলম সুজন সাহেবকে জানানোর পর গত ২০ তারিখের পর রাস্তার কার্পেটিং করার কথা ছিল। সম্ভবত বৃষ্টির কারণে তা আর হয়ে উঠেনি।

এদিকে, উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ এলাকায় অবস্থানরত লঘুচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগরে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় রয়েছে। তার প্রভাবে গত কয়েকদিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া দফতরের সহকারী আবহাওয়াবিদ উজ্জ্বল কান্তি পাল বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের কারণে চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত এবং চট্টগ্রাম নৌবন্দরের জন্য ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত বহাল রয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘দক্ষিণ ও পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ১২-১৮ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। যা ঝড়ো হাওয়া আকারে ৪০-৪৫ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়তে পারে। এসময় স্বাভাবিক জোয়ারে চেয়ে ১-২ পানি উঠে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে।’

মুআ/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!