কালোটাকার মালিকদের জন্য সুখবর, এবারও খাটানো যাবে নগদ টাকা শেয়ারবাজার ও জমি-ফ্ল্যাটে

সুখবর এলো কালোটাকার মালিকদের জন্য। অন্যান্যবারের মতো এবারও কালোটাকা সাদা করার সুযোগ রাখা হয়েছে ঢালাওভাবে। তবে এবার করের পরিমাণ কিছুটা বাড়ানো হয়েছে। কালোটাকা সাদা করলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ছাড়া অন্য কোনো সংস্থা কালোটাকার মালিককে কোনো প্রশ্ন করবে না।

মঙ্গলবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২১ সালের অর্থবিল পাসের সময় কিছু ধারা সংশোধন করে পাস করা হয়েছে। তাতে নগদ টাকা, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংকে রাখা টাকার পাশাপাশি শেয়ারবাজার, ফ্ল্যাট-জমিতে বিনিয়োগ করে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ আরও এক বছরের জন্য বাড়ানো হয়েছে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে মোট ১০ হাজার ৩৪ জন করদাতা কালোটাকা সাদা করেছেন। অন্যদিকে গত জুলাই থেকে মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৩৪১ জন করদাতা শেয়ারবাজারে কালোটাকা বিনিয়োগ করেছেন।

তবে এবার করের পরিমাণ ও জরিমানা দিয়ে খানিকটা বাড়ানো হয়েছে। আগে ১০ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকলেও এবার সেটা বাড়িয়ে ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। সঙ্গে ওই করের ওপর জরিমানা দিতে হবে ৫ শতাংশ।

চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে ২০২২ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত কালোটাকা সাদা করার এই সুযোগ মিলবে। অন্য আরও কিছু খাতের পাশাপাশি কালো টাকা বিনিয়োগ করা যাবে শেয়ারবাজারে। এক্ষেত্রে কর দিতে হবে ২৬ দশমিক ২৫ শতাংশ কর। তবে ওই টাকায় কেনা শেয়ার এক বছরের মধ্যে বিক্রি করলে ১০ শতাংশ হারে জরিমানা বসবে।

জমি ও ফ্ল্যাট কিনে এলাকা ও আয়তনভেদে নির্ধারিত কর দিয়েও কালোটাকা সাদা করা যাবে। এ ছাড়া কালোটাকায় নতুন শিল্পকারখানা করা যাবে মাত্র ১০ শতাংশ কর দিয়ে। অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কেও ১০ শতাংশ কর দিয়ে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকছে।

চলতি অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার সময়ে দেওয়া নগদ টাকা, ব্যাংকে রাখা টাকা ও এফডিআর, সঞ্চয়পত্র কিনে কালোটাকা সাদা করার সুযোগটি বুধবারই (৩০ জুন) শেষ হয়ে যাচ্ছে। শেয়ারবাজারেও শেয়ারবাজারে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ শেষ হচ্ছে ওইদিনই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!