কালভার্ট ধসে পড়ায় দুর্ভোগে মেধস আশ্রমে আসা পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীরা

ধসে পড়ার দুই সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এখনো মেরামত হয়নি বোয়ালখালী উপজেলার মেধস মুনির আশ্রমের প্রবেশদ্বরের কালভার্টটি। ফলে যাতায়তে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশ্রমে আগত পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীদের।

জানা যায়, উপজেলার পূূর্ব সীমান্তে করলডেঙ্গা পাহাড়ে রয়েছে সনাতনী ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের দুর্গাপূজার উদ্ভবস্থল হিসেবে খ্যাত মেধস মুনির আশ্রম। এ আশ্রমে প্রতিদিন দূর-দূরান্তের শতশত পুণ্যার্থী ও দর্শনার্থীর আগমন ঘটে। টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আশ্রমের প্রবেশদ্বারের রাস্তার কালভার্টটি হঠাৎ ধসে পড়ে। তখন থেকেই আশ্রমে যাতায়াতের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশ্রমে আগতদের।

মেধস মুনির আশ্রমের নাট মন্দির ঝুঁকির মুখে পড়েছে জানিয়ে আশ্রম অধ্যক্ষ বুলবুলানন্দ মহারাজ বলেন, ‌‘পাহাড়ি ঢলে মেধস আশ্রমের মূল প্রবেশদ্বারে যাতায়াতের কয়েক গজ দূরত্বের একটি বড় কালভার্ট ধসে গেছে। এতে যাতায়াতের পথ বন্ধ যায়। এছাড়া পাহাড় ধসে চণ্ডী মন্দিরের সম্মুখভাগের নাট মন্দির ঝুঁকিতে পড়েছে। ব্যাপক বৃষ্টির ফলে আশ্রমের গাছপালা ভেঙে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

এ ব্যাপারে কড়লডেঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হামিদুল হক মান্নান জানান, মেধস আশ্রমে যাতায়াত পথে ধসে যাওয়া কালভার্ট সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে অবহিত করা হয়েছে। এছাড়াও ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

বোয়ালখালী পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল বিশ্বাস বলেন, ‘প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে কালভার্টটি ধসে পড়ে আশ্রমে যাতায়াত বন্ধ হয়ে নাট মন্দির ঝুঁকিতে পড়েছে। সুতরাং অতি দ্রুত কালভার্টটি পুননির্মাণসহ ঝুঁকিতে পড়া নাট মন্দিরটি রক্ষায় উদ্যােগ নেওয়ার জন্য প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি দাবী জানান তিনি।

এ ব্যাপারে বোয়ালখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. একরামুল ছিদ্দিক বলেন, ‘ধসে পড়া কালভার্টের স্থানে নতুন করে ব্রিজ ও রাস্তা নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় উদ্যােগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি কয়েকদিনের মধ্যেই কাজ শুরু হবে।’

এএইচ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!