কারামুক্ত মিজানুর রহমান চেয়ারম্যানকে সন্দ্বীপে সংবর্ধনা
অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আমার বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে
অন্যায় এবং চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে কথা বলায় প্রতিপক্ষের দ্বারা রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রমূলক হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। খুলশী থানায় গ্রেপ্তার হয়ে জামিনে মুক্তির পর সন্দ্বীপ ফিরে স্থানীয় নাগরিকদের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এসব কথা বলেন মিজানুর রহমান।
রোববার (১১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় সন্দ্বীপের মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজানকে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ফাঁসানোর প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হয়ে রোববার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে সন্দ্বীপ ফিরেন জেলা যুবলীগের এই নেতা। এসময় নেতাকর্মীরা তাকে বরণ করে নেন। শোডাউনের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মী ও ইউনিয়নের সাধারণ মানুষ মিজানুর রহমান মিজান চেয়ারম্যানকে গুপ্তছড়া ঘাট থেকে মাইটভাঙ্গা নিয়ে যান। রাত আটটায় মাইটভাঙ্গার শিবের হাট চত্বরে সমন্বিত ঐক্য পরিষদ পথসভার আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাইটভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান।
পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মিজানুর রহমান বলেন- ‘আমাকে বিভিন্নভাবে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিযোগিতায় মোকাবেলা করতে না পেরে ষড়যন্ত্রকারীরা আমাকে সন্দ্বীপের মানুষের কাছে ছোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমি জীবিত থাকতে তাদের উদ্দেশ্যে কখনো সফল হবে না।’
যেখান থেকে তাকে আটক করা হয়েছে পাওনা টাকা আনতে সেখানে গিয়েছিলেন দাবি করে মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান বলেন- ‘পাওনা টাকা আনতে আমাকে আপন আবাসিকে ডাকা হয়। আমি পৌঁছার ৫ মিনিটের মধ্যে সেখানে পুলিশ আসে। আমি খুলশী থানায় আসার আগেই ষড়যন্ত্রকারীরা ফেসবুকে বিভিন্ন বেনামী আইডি থেকে আমাকে খুলশী থানায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে মর্মে প্রচার করতে থাকে। এ থেকে স্পষ্ট হয় এটি ছিল পূর্ব পরিকল্পিত। এমনকি আমাকে আটকে রেখে মামলা দিতে ষড়যন্ত্রকারীরা থানায় ফোন পর্যন্ত দিয়েছে।’
প্রসঙ্গত, গত শনিবার চট্টগ্রামের খুলশী থানার আপন আবাসিক এলাকা থেকে একটি জুয়ার আসর থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের মধ্যে মিজানুর রহমানও ছিলেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজ উল্ল্যাহ, ফোরকান উদ্দিন সহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাওলানা মোশাররফ হোসেন, জমির উদ্দিন বেলাল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া মঞ্জুর মেম্বার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল মহসিন সেলিম, কাজী আরিফুর রহমান মেহেরাজ, ইউপি সদস্য আজিজুল হক ভুলু, মো. রেজাউল করিম, মো. মামুন, মো. আরমান, আবুল কাশেম, যুবলীগের উপজেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহেদ সারোয়ার শিমুল মেম্বার, হুমায়ুন কবির সুমন, প্রচার সম্পাদক আনোয়ারুল কবির, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য আবদুর রহিম শিবলু, সাধারণ সম্পাদক আইনুল কবির মুন্না, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজুল ইসলাম, হীরা কায়সার, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি টুটুল চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শেষে মিজানুর রহমান চেয়ারম্যানকে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, মসজিদের ইমাম, সমাজ প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা ফুল দিয়ে সংবর্ধনা প্রদান করেন।