কাভার্ড ভ্যান চাপায় নিমিষেই ঝরে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীসহ তিন জনের প্রাণ

চকরিয়া-কক্সবাজার মহাসড়কের জিদ্দাবাজারে

করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় গ্রামের বাড়িতেই ছিলেন রিফাত, তারেক ও নিলয়। তাদের স্বপ্ন ছিল লেখাপড়ার পাঠ চুকিয়ে চাকরি করে প্রতিষ্ঠিত হবেন। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন আর আলোর মুখ দেখতে দিলো না একটি দ্রুতগামী কাভার্ড ভ্যান।

রোববার (৩০ আগস্ট) দুপুর ১টার দিকে মহাসড়কের চকরিয়ার জিদ্দাবাজার এলাকায় কাভার্ড ভ্যানের চাপায় প্রাণ হারিয়েছেন দুই সহোদরসহ তিনজন।

নিহতরা হলেন- চকরিয়া উপজেলা হারবাং ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের অলিপুর গ্রামের মোহাম্মদ বশিরের ছেলে আমজাদ হোসেন রিফাত (২২) ও একই ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আব্দুল হাকিমের ছেলে মোহাম্মদ তারেক (২২)। পরে হাসপাতালে নেয়ার পথে গুরুতর আহত একই ইউনিয়নের আব্দুল হাকিমের ছেলে তানজিলুর রহমানও (১৯) নিহত হন। নিহত রিফাত ও তারেক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র। তানজিল চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ছাত্র বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে তারেক ও তানজিল দুই সহোদর বলে নিশ্চিত করেছেন তাদের প্রতিবেশী আহসানুল করিম।

নিহতদের লাশ চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেকে রাখা হয়েছে।

হারবাং ইউনিয়নের বাসিন্দা ও রিফাত নিলয়ের বন্ধু সুজন কান্তি নাথ বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তারা বাড়িতে অবস্থান করছিলো। রোববার সকালের দিকে একটা কাজে তিনজনই চকরিয়া পৌরশহরে গিয়েছিল। ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে রিফাত ও তারেক ঘটনাস্থলে এবং নিলয় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। তাদের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চিরিংগা হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির (আইসি) ইন্সপেক্টর মো. আনিসুর রহমান বলেন, দুপুর একটার দিকে চট্টগ্রাম থেকে মালবোঝাই একটি কাভার্ড ভ্যান কক্সবাজার যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে মোটরসাইকেলটি কাভার্ড ভ্যানের নিচে ঢুকে যায়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে রিফাত ও তারেক চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। গুরুতর আহত তানজিমুলকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে হাসপাতালে পৌঁছানোর আগে সেও মারা যায়। এ ঘটনায় কাভার্ড ভ্যান ও মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে বলে জানান ইন্সপেক্টর মো. আনিসুর রহমান।

এসএ/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!