কানাডার চোখ চট্টগ্রামের ওষুধশিল্পে, পর্যটনে টাকা খাটানোর প্রস্তাব মেয়রের

চট্টগ্রামে ওষুধ শিল্পে টাকা খাটাতে চায় কানাডার বিভিন্ন কোম্পানি। এছাড়া নগরীতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহ করতেও আগ্রহী উত্তর আমেরিকার শিল্পোন্নত দেশটি।

কানাডার চোখ চট্টগ্রামের ওষুধশিল্পে, পর্যটনে টাকা খাটানোর প্রস্তাব মেয়রের 1

চট্টগ্রামে এসে এমন কথা জানিয়ে গেলেন কানাডার হাই কমিশনার লিলি নিকোলস। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) নগরীর টাইগারপাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ে মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে কানাডার হাইকমিশনার এসব আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।

জবাবে মেয়র রেজাউল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কানাডা চট্টগ্রামের ট্যুরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশন ভূমি বরাদ্দ দেবে। এছাড়া চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে বলেও মেয়র হাইকমিশনারকে জানিয়েছেন।

কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস বলেছেন, ‘কানাডা শিক্ষাক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে। কারিগরি শিক্ষায় প্রশিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে সমৃদ্ধশালী করতে পারে কানাডা।’

হাইকমিশনার বলেন, ‘চট্টগ্রামে ওষুধশিল্পে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী কানাডার অনেক শিল্পগ্রুপ। এছাড়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনার আধুনিক প্রযুক্তি সরবরাহের মাধ্যমে চট্টগ্রামকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর নগরীতে পরিণত করার বিষয়ে অবদান রাখতে পারে কানাডা। কানাডা সৌরবিদ্যুৎ বিকাশে সহায়তার মাধ্যমে সবুজ জ্বালানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে পারে।’

সিটি মেয়র এম রেজাউল করিম বলেন, ‘ট্যুরিজম খাতের সম্ভাবনা মাথায় রেখে ওশান এমিউজম্যান্ট পার্কসহ অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন ও বৈচিত্র্যসাধনে নানামুখী পদক্ষেপ নিচ্ছি। কানাডা চট্টগ্রামের ট্যুরিজম খাতের বিকাশে বিনিয়োগ করতে চাইলে সিটি কর্পোরেশন ভূমি বরাদ্দ দেবে। এছাড়া চট্টগ্রামে একটি অত্যাধুনিক হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে কানাডা বাংলাদেশের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর উদযাপনকে স্মরণীয় করে রাখতে পারে।’

মেয়র আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে কানাডা।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কানাডা হাইকমিশনের সিনিয়র ট্রেড কমিশনার অ্যান্ড কাউন্সিলর অ্যাঞ্জেলা ডার্ক, ট্রেড কমিশনার কাজী গোলাম ফরহাদ, নগর সংস্থার প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, জনসংযোগ ও প্রটোকল কর্মকর্তা আজিজ আহমদ।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!