কাদের মির্জাও মুখ খুললেন চট্টগ্রাম সিটির ভোট নিয়ে

‘কিসের সুষ্ঠু হয়েছে? মায়ের বুক খালি হয়েছে’

‘সত্য কথা’ বলে সাম্প্রতিক সময়ে দেশজুড়ে আলোচিত নোয়াখালী বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ আনলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।

কাদের মির্জা বলেন, ‘চট্টগ্রামের নির্বাচন সুষ্ঠু হয়নি। রক্তপাত হয়েছে। এটাকে মেনে নেওয়া যায় না। আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সংগঠন আওয়ামী লীগ পথহারা।’

সংঘাত, সংঘর্ষ আর কেন্দ্র থেকে এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগের মধ্যেই বুধবার অনুষ্ঠিত হয়েছে চট্টগ্রামের নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

মির্জা কাদের বলেন, ‘চট্টগ্রামের নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কিসের সুষ্ঠু হয়েছে? মায়ের বুক খালি হয়েছে। সেখানে জোর করে ইভিএম (ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন) ব্যবহার করে একজন প্রার্থীর পক্ষে ভোট নিয়েছে।’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচন শেষে বুধবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সরকারি মুজিব কলেজ মাঠে নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত সংবর্ধনায় এসব কথা বলেন তিনি।

নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়ে কাদের মির্জা বলেন, ‘আপনি মানুষের চোখে ধুলা দিয়ে কতদিন টিকে থাকবেন। এটি চলতে পারে না। আজকে বাংলাদেশে নির্বাচন ব্যবস্থার পরিবর্তন করতে পারে একমাত্র শেখ হাসিনা।’

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন উল্লেখ করে কাদের মির্জা বলেন, শেখ হাসিনা মানুষের ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আজকে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে শেখ হাসিনাকেই। এটির বিকল্প নেই, বিকল্প নেতৃত্বও নেই। সে যোগ্যতা, সৎ সাহস কারও নেই, একমাত্র শেখ হাসিনার আছে।’

ওই সভায় ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে কাদের মির্জা বলেন, ‘ঢাকায় বসে রাজনীতি করবেন? আমার নেতাকর্মীরা আপনাদের পেছনে স্লোগান দেয়— ওবায়দুল কাদের সাহেব, পদ টেকাতে অপশক্তির কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তিনি (ওবায়দুল কাদের) আমাকে টেলিফোনে বলেন- তুমি আমার পদ খাবে নাকি? একরাম চৌধুরীর বহিষ্কার পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’

তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের সাহেব, আপনি কীভাবে সারেন্ডার করলেন, কীভাবে আত্মসমর্পণ করলেন? আমার আব্বা কি রাজাকার ছিলেন? ওবায়দুল কাদের সাহেব আপনার আব্বা মোশারফ হোসেন রাজাকার নন, তিনি বসুরহাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। আর যারা আমার পরিবারকে নিয়ে রাজাকার বলছে, তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করছেন।’

ওই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী মমতাজ বেগম এমপি ও কর্ণিয়া।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!