কাগজে-কলমে ফিটফাট চট্টগ্রামের এসআরভি রেলস্টেশন এখন ট্রাক স্ট্যান্ড, গ্যারেজ

আছে স্টেশন মাস্টার, তার সাথে আছে খালাসী, পিয়ন। আছে চৌকিদারও। তাদের পেছনে রেলওয়ের ব্যয় হয় লাখ লাখ টাকা। রেলস্টেশনটিতে সব থাকলেও যায় না শুধু ট্রেন! কাগজে-কলমে ‘ফিটফাট’ স্টেশনটি বাস্তবে এখন ট্রাক স্ট্যান্ড, গ্যারেজ।

বলছিলান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের অধীনে থাকা চট্টগ্রাম মাদারবাড়ি এসআরবি (সেন্ট্রাল রোড ভিক্টরী) স্টেশনের কথা।

স্থানীয়রা বলছেন, রেলওয়ের বেতনে ট্রাক পাহারা আর রক্ষণাবেক্ষনের কাজ চলে এই স্টেশনজুড়ে।

সরেজমিন দেখা গেছে, পুরো প্লাটফর্মে ট্রেনের পরিবর্তে জায়গা করে নিয়েছে সারি সারি ট্রাক। বাইরে থেকে কেউ এসে দেখলে বুঝার উপায় নেই এটি রেলস্টেশন। কারণ স্টেশনে পৌঁছে পাওয়া যাবে না রেলওয়ের কোনো কর্মচারীকে।

ট্রাক আর গ্যারেজ ছাড়াও বিশাল জায়গা জুড়ে চলছে নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তুতি। স্টেশনের প্লাট ফর্ম পুরোটাই এখন ট্রাক স্ট্যান্ড। রেল লাইনের দুই পাশে রেলের জায়গা দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। নির্মান হচ্ছে আরও দোকান, গ্যারেজ। তাই স্তুপ করে রাখা হয়েছে ইট, বালি সিমেন্ট।

রেল স্টেশন ছাড়াও রেলের শত শত কোটি টাকা মূল্যের ভূমি অবৈধভাবে দখল হলেও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী অজ্ঞাত কারণে নীরব।

দায়িত্বরত স্টেশন মাস্টার জাফর উল্লাহ ভূঁইয়া জানান, ‘দখল ঠেকাতে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে চিঠি দেওয়া হয়। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ভূ-সম্পদ দপ্তরকে চিঠি দিলেও ব্যবস্থা নেয়নি।’

জানা গেছে, চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে মাদারবাড়িমুখী রেল লাইন হালিশহর সিজিপিওয়াই ইয়ার্ডে যুক্ত হয়েছে। বন্দরের মালামাল, মালবাহী গাড়ি চলাচল করতো এ লাইন দিয়ে।

এসআরবি স্টেশন এলাকায় ভূ-সম্পদ কানুনগো আব্দুস সালাম বলেন, ‘রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে আমরা ওই এলাকা পরিদর্শনে যাব। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি) সিআই
রেজোয়ানুর রহমান বলেন, ‘ভূ-সম্পদ দপ্তর আমাদের অবহিত করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিব।’

স্থানীয়দের অভিযোগ, বন্দর আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফের নাম ভাঙিয়ে কিছু ব্যক্তি রেলওয়ের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ কাজ চালাচ্ছে।

এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!