কাগজের নামে এলো সিগারেট, ১১ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি ঠেকালো চট্টগ্রাম কাস্টমস

কাগজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে সিগারেট এনেছে চট্টগ্রামের রিয়াজউদ্দিন বাজারের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান করিম ট্রেডিং। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করে সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে সিগারেট এনে তারা ধরা পড়লো কাস্টমস কর্মকর্তাদের হাতে।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে এসব পণ্য আটক করা হয়।

কাস্টমস সূত্র জানায়, এ-ফোর সাইজের কাগজ আমদানির ঘোষণা দিয়ে চট্টগ্রামের জাকির হোসেন রোডের সুরমা এন্টারপ্রাইজ কাস্টম হাউজে গত ৪ ফেব্রুয়ারি বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে। কিন্তু পণ্যচালানটি খালাসের আগে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন এন্ড রিসার্চ (এআইআর) টিমের সন্দেহ হয়। তারা ওই প্রতিষ্ঠানের বিল অব এন্ট্রি আটকে রাখে। পরবর্তীতে ১৪ ফেব্রুয়ারি নিয়ম অনুযায়ী পণ্য পরীক্ষা শুরু করে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের এআইআর টিম।

জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা, বন্দর ও সিএন্ডএফ এসোসিয়েশনের প্রতিনিধির উপস্থিতিতে পণ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয় এআইআর শাখা। কন্টেইনারটি খোলার সময় রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম।

কন্টেইনারটি থেকে সব পণ্য বের করে আনার পর দেখা যায়, ৪৮টি পলিথিন ব্যাগের প্রতিটিতে ৪৮টি কার্টন রয়েছে। যেগুলোর উপরের স্তরের ১২টি কার্টুনে ছিল কাগজ। পরবর্তী ৩৬টি কার্টন খুলে উপরে শুধু এক রিম এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়। কাগজের নিচে আলাদা একটি কার্টন থেকে বেরিয়ে আসে সিগারেট।

অভিযান শেষে ২৩ হাজার কার্টন সিগারেট জব্দ করে কাস্টমস কর্মকর্তারা। জব্দ করা সিগারেটগুলো ‘এজে’ ও ‘মন্ড’ ব্র‍্যান্ডের। এছাড়া ওই কন্টেইনারে এ-ফোর সাইজের কাগজ পাওয়া যায়।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মোহাম্মদ ফখরুল আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘পণ্যচালানটিত শর্ত সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য পণ্য সিগারেট আমদানি করে প্রায় ১১ কোটি টাকা সরকারি রাজস্ব ফাঁকির অপচেষ্টা করা হয়। এ ঘটনায় দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে কঠোর ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!