কাউন্সিলর মনোনয়নে পুরনো যারা বাদ পড়তে পারেন

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হতে পারেন কমপক্ষে এক ডজন কাউন্সিলর। গত নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন নিয়ে জয়ী হয়ে আসা এসব কাউন্সিলরের অনেকের বিরুদ্ধে দায়িত্বের মেয়াদকালে বিভিন্ন অপরাধ ও অনিয়মের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ শোনা গেছে বছরজুড়ে। অনেকে আবার রাজনৈতিক বিভিন্ন মেরুকরণে বাতিলের খাতায় পড়ছেন বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে নিশ্চিত হওয়া গেছে।

আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করার কথা থাকলেও তা একদিন পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেক্ষেত্রে ২০ ফেব্রুয়ারি কাউন্সিলর প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হতে পারে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল একাধিক নির্ভরযোগ্য নেতার সাথে আলাপ করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তারা বলেছেন দায়িত্বকালীন বিভিন্ন অভিযোগ উঠায় অনেককে এবার মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না। এই সংখ্যা এক ডজনের মত। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রগুলো জানিয়েছে।

বর্তমান কাউন্সিলরের মধ্যে মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকা এসব কাউন্সিলর হলেন— ৩ নং পাঁচলাইশ ওয়ার্ডে কফিল উদ্দিন খান, ৯ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের জহুরুল আলম জসিম, ১১ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ডের সাবের হোসেন সওদাগর, ১৪ নং লালখান বাজার ওয়ার্ডে এএফ কবির আহমেদ মানিক, ২১ নম্বর জামালখান ওয়ার্ডের শৈবাল দাশ সুমন, ২৪ নম্বর উত্তর আগ্রাবাদ ওয়ার্ডে নাজমুল হক ডিউক, ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ডের এসএম এরশাদ উল্লাহ, ২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদের এইচ এম সোহেল, ২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ডের আব্দুল কাদের, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ডে হাসান মুরাদ বিপ্লব, ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট ওয়ার্ডে নুরুল হক এবং ৩৯ নং দক্ষিণ হালিশহর ওয়ার্ডে জিয়াউল হক সুমন।

বাদ পড়ার সম্ভাব্য তালিকায় থাকা এসব কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ভূমি দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন বিষয়ে অভিযোগ রয়েছে। তবে এসব অভিযোগের বাইরেও রাজনৈতিক মেরুকরণের কারণেও কেউ কেউ বাদ পড়তে পারেন বলে জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে এসব ওয়ার্ডের অনেকগুলোতে একেবারেই নতুন মুখ দেখা যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দু-একটি ওয়ার্ডে সাবেক এই মেয়াদের আগে দায়িত্ব পালন করা কাউন্সিলরদেরও বাছাই করে নেওয়া হতে পারে।

গতকাল (১৬ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে সাক্ষাত করেছেন চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিমসহ ৫ নেতা। সেখানেও কাউন্সিলর মনোনয়ন প্রসঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। যারা স্বচ্ছ ভাবমূর্তির এবং যাদের বিরুদ্ধে অন্যায় কর্মকাণ্ডের অভিযোগ নেই, তাদেরই চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার কথা বলেছেন তিনি।

এআরটি/এসএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!