কাউন্সিলরের শূন্য পদ নিয়ে অভিনব প্রতারণা, সুজনের কড়া বার্তা

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের ‍পদ শূন্য হয়ে যাওয়ার পর শুরু হয়েছে অভিনব প্রতারণা। এরই মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে প্রশাসক মনোনীত সমন্বয়ক দাবি করে কাউন্সিলর অফিসেও অবস্থান নেওয়ার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যক্তিকে প্রশাসকের মনোনীত ‘সমন্বয়ক’ বা ‘প্রতিনিধি’ উল্লেখ করে অভিনন্দন জানাতে দেখা গেছে।

এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের ‍শূন্য পদে চসিকের যে ৩ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে তার বাইরে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে আর কাউকে নিয়োগ দেওয়া হয়নি বলে কড়া বিবৃতি দিয়েছেন চসিক প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন।

সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃবিতে নগরবাসীকে এই সংক্রান্ত গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানান প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। কেউ এ সংক্রান্ত গুজব রটালে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন সুজন।

বিবৃতিতে সুজন বলেন, ‘কোনো ওয়ার্ডে সমন্বয়ক বা প্রতিনিধি হিসেবে কাউকে দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত পরিষদ মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়ার পর স্থানীয় সরকার অ্যাক্ট (সিটি কর্পোরেশন-২০০৯) অনুযায়ী কাউন্সিলর পদটি এখন শূন্য। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্বপ্রাপ্ত হিসেবে যাদের নাম প্রচার করা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ অসত্য ও কল্পনাপ্রসূত।’

তবে ওয়ার্ড পর্যায়ে ওয়ারিশান, জাতীয়তা সনদপত্র, জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সনদপত্র প্রদানে ওয়ার্ডের সচিবদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্ব পালনে প্রয়োজনবোধে এলাকার অভিজ্ঞ মুরব্বী, শিক্ষক আলেম ও রাজনৈতিক নেতাদের সহযোগিতা নিতে ওয়ার্ড সচিবদের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।

আইন অনুযায়ী দায়িত্বে সহযোগিতার জন্য কাউন্সিলরের বদলে সহায়ক কমিটি করার সুযোগ থাকলেও প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালনে কোনো সহায়ক পরিষদ গঠন করেননি সুজন। তবে চসিকের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলমকে ১ থেকে ১৪ নং ওয়ার্ড, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়াকে ১৫ থেকে ২৮ নং ওয়ার্ড ও সচিব আবু শাহেদ চৌধুরীকে ২৯ থেকে ৪১ নং ওয়ার্ডের কার্যক্রম দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!