কসবায় ট্রেন দুর্ঘটনার ক্ষতি ৪০ লাখ টাকা!

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ভোর রাতে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনার তদন্ত ৯৯ ভাগ শেষ। বাকি এক ভাগ— শুক্রবার দুর্ঘটনাস্থল আবার পরিদর্শনের জন্য তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়নি তদন্ত কমিটি। তবে শুক্রবার প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলে নিশ্চিত করেছেন বিভাগীয় পর্যায়ের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের পাহাড়তলী রেলওয়ের অফিসে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ার কসবায় তূর্ণা নিশীথা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির কার্যক্রম নিয়ে বিফ্রিং করেন নাসির উদ্দিন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আমরা মোটামুটি যে স্টাডিগুলো করেছি— ট্রেনের স্পিড ছিল কত? সিগন্যালের সিটিউশন কেমন ছিল? দুই পাশের স্টেশন মাস্টারের কিছু গোপন নম্বর থাকে যেগুলোর মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ার দেয়, ওই নম্বরগুলো আমরা যাচাই করেছি। ট্রেনের সম্পূর্ণ ব্রেকিং দূরত্ব ৪৪০ গজ। চালকের (লোকোমাস্টার) ব্রেক ধরার জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল। চালক কেন ট্রেন থামালেন না, তা খতিয়ে দেখছি।

নাসির উদ্দিন বলেন, কংক্রিট বা বালির কারণে তূর্ণার চালক (লোকোমাস্টার) সিগন্যাল দেখতে না পাওয়ার বিষয়টির সত্যতা মেলেনি।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন জানান, কসবার ট্রেন দুর্ঘটনায় লোকোমোটিভ ক্ষতি হয়েছে ১৭ লাখ টাকা, কোচের ক্ষতি হয়েছে ২০ লাখ টাকা।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!