কলেজের টয়লেটেই নবজাতককে ফেলে পালালেন মা

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের টয়লেট থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে। সদ্য ভূমিষ্ঠ নবজাতক কন্যা সন্তানকে ফেলে পালিয়েছে মা। সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে মেয়েদের কমনরুমের শৌচাগার থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।

জানা গেছে, ওই সময় কমনরুমে মেয়েরা বসে ছিল। হঠাৎ করে শৌচাগারের ভেতর থেকে কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়ে তারা আয়াকে জানালে তিনি গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে কলেজের এক শিক্ষিকসহ শিশুটিকে খাগড়াছড়ি মা ও শিশু হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে শহর সমাজ সেবা অফিসার শিশুটিকে হেফাজতে নেয়। এরপর সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় শিশুটিকে।

খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের আয়া রেনু বালা ধর বলেন, মেয়েদের কমরুমের শৌচাগার থেকে হঠাৎ একটি শিশুর কান্না শুনতে পেয়ে রুমে থাকা মেয়েরা আমাকে জানায়। তখন আমি ঝাড়ু দিচ্ছিলাম। তখন শৌচাগারে গিয়ে শিশুটিকে কমোডের অর্ধেক পানিতে ডুবে থাকতে দেখি। এরপর তাকে উদ্ধার করে কলেজ শিক্ষিকা রষনি চাকমাসহ হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে সমাজ সেবা অফিসারের কাছে বুঝিয়ে দিয়ে চলে আসি।

খাগড়াছড়ি মানবিক সেবা ও কল্যাণ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, সমাজসেবা অফিসারসহ শিশুটিকে বুঝিয়ে নিয়ে দেখাশোনা করছি। সদর হাসপাতালে এনে ভর্তি করিয়ে সার্বিক চিকিৎসায় রেখেছি। যারা শিশুটিকে দত্তক নিতে এসেছে কোর্টের মাধ্যমে হয়তো তারা বুঝিয়ে নেবে।

অপরদিকে, খবর শুনেই উদ্ধার হওয়া নবজাককে দত্তক নিতে আসেন খাগড়াছড়ি পৌর শহরের মাস্টার পাড়া এলাকার রাম্প্রু মারমা ও ওয়াম্রাচু মারমা দম্পতি। তারা বলেন, আমাদের বিবাহিত জীবনের ৫ বছর পার করলাম। কোনো সন্তান নেই আমাদের সংসারে। তাই আমরা এই মেয়ে শিশুটিকে দত্ত নিয়ে নিজের সন্তানের মতো লালনপালন করতে চাই।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!