কলকাতা থেকে অবৈধ ব্যাগেজ আসছে ট্রেনে, ১১৫ ব্যাগেজ উদ্ধার ঢাকা থেকেই

আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা

ভারতের কলকাতা থেকে দেশের রেলপথে অবৈধভাবে ব্যাগেজে করে আসছে বিভিন্ন পণ্য। এসব পণ্যের আড়ালে দেওয়া হচ্ছে রাজস্ব ফাঁকি। ঢাকার ক্যান্টনমেন্ট রেলস্টেশনে ভারত থেকে আসা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনে অভিযান চালিয়ে এমনই ১১৫ ব্যাগেজ জব্দ করা হয়েছে। যা আনা হয়েছে কাস্টসমকে ফাঁকি দিয়ে। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে এসব ব্যাগেজ জব্দ করেছে। এতে দুই কোটি ৬৫ লাখ টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।

অভিযানে নেতেৃত্ব দেন কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর উপপরিচালক সানজিদা খানম।

অভিযানের সময় অনেকে ব্যাগেজ রেখে পালিয়ে যান। ব্যাগেজে খুলে শাড়ি, থ্রি পিস, শাল বা চাদর, শার্ট পিস, টি-শার্ট, ওড়না, ট্রাউজার, মদ ও সিগারেট পাওয়া হয়েছে।

বুধবার (১৯ অক্টোবর) কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ক্যান্টনমেন্ট স্টেশনে পৌঁছলে ট্রেনটি ঘিরে ফেলে গোয়েন্দা দল। সাধারণ যাত্রীরা ইমিগ্রেশন শেষে স্টেশন ত্যাগ করে। পরে বাংলাদেশ ও ভারতের পাসপোর্টধারী সন্দেহজনক যাত্রীদের ব্যাগ তল্লাশি করা হয়।

সকল যাত্রী নেমে যাওয়ার পর ট্রেনে তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় অনেক যাত্রীকে তাদের প্রাপ্যতার তুলনায় অধিক মালামাল বহন করতে দেখা যায়। এরপর ব্যাগেজ সুবিধার অতিরিক্ত পরিমাণে আনা ভারতীয় মালামাল উদ্ধার করা হয়।

জব্দকৃত ব্যাগেজ সংখ্যা ১১৫টি। এর মধ্যে চাটি ব্যাগেজ রেখে পালিয়ে যায় যাত্রীরা। ডিএমের মাধ্যমে কাস্টমস হাউসকে ব্যাগেজগুলো বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এর মধ্যে রয়েছে শাড়ি ৭৩১ পিস, থ্রি-পিস ২২৬৫ পিস, শাল বা চাদর ২১০ পিস, শার্ট ১১৪ পিস, টি-শার্ট ৩৫ পিস, ওড়না ২০৬ পিস, ট্রাউজার ১৮১ পিস, আন্ডার গার্মেন্টস ৫৯২ পিস, ওয়ান পিস ৯০ পিস, ব্লেজার ১৫ পিস, পাঞ্জাবি ৩২ পিস।

এছাড়া আরও ছিল কসমেটিকস ৪০৬ কেজি, জুয়েলারি ইমিটেশন ২১৪ কেজি, ওষুধ ১৬ কেজি, সিগারেট ৭৫ কার্টুন, জর্দা ২১ কেজি, এলকোহল ৪২ বোতল (লিটার), ট্রিমার ১০ পিস, হাত ঘড়ি ১২ পিস, চকলেট ১০ কেজি, থান কাপড় ৮ কেজিসহ অন্যান্য পণ্য।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর উপ-পরিচালক সানজিদা খানম জানান, মালামালগুলোর বাজার মূল্য আনুমানিক ২ কোটি ৬৫ লাখ ৭৯ হাজার ৮০০ টাকা। জব্দ করা মালামাল পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কাস্টম হাউস ঢাকায় ডিক্লারেশন মেমোর (ডিএম) মাধ্যমে জমা দেওয়া হয়েছে।

এএস/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!