কর্ণফুলী পার্কের নোংরা দশা দেখে রেগে আগুন সুজন

ডিটি রোড ও সাগরিকা রোডের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২৪ ঘন্টা সময়

চট্টগ্রাম নগরের আগ্রাবাদে কর্ণফুলী শিশু পার্কের নোংরা পরিবেশ দেখে রাগ ঝাড়লেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক খোরশেদ আলম সুজন। ঝটিকা পরিদর্শনে গিয়ে তিনি পার্কটির অব্যবস্থাপনা ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ দেখে প্রয়োজনে ইজারা বাতিল করা হবে বলেও সতর্ক করে দেন। চসিক প্রশাসক পার্ক ঘিরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশে স্কুল সময়ের পর পার্কের কার্যক্রম পরিচালনার নির্দেশ দেন।

শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় দামপাড়া স্টোর থেকে শুরু করে আগ্রাবাদ জাম্বুরী মাঠ, দেওয়ানহাট ডিটি রোড, দক্ষিণ পাহাড়তলী জোড় ঢেবা হয়ে সাগরিকা মোড় পর্যন্ত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন খোরশেদ আলম সুজন।

ডিটি রোড ও সাগরিকা থেকে একে খান পর্যন্ত সড়কের সংস্কার কাজ পরিদর্শনকালে সড়কের দুই পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনার বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে ২৪ ঘন্টার সময় বেঁধে দেন। না হলে পরবর্তীতে চসিকের তরফ থেকে এই দুই সড়কে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

এছাড়াও ডিটি রোডের সংস্কার কাজের ক্ষেত্রে প্রকৌশলী এবং ঠিকাদারদের কাজের গুণগত মান যাচাইয়ের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি। তিনি উপস্থিত এলাকাবাসীকে সড়কের নির্মাণকাজের তদারকি করারও আহবান জানান।

অন্যদিকে আগ্রাবাদের জাম্বুরী মাঠ সংলগ্ন সিটি কর্পোরেশনের জায়গাটিকে জঞ্জালমুক্ত করে সেটিকে অকেজো ও পরিত্যক্ত যানবাহনের ডাম্পিং সেন্টারে পরিণত করা এবং অকেজো যানবাহনগুলো নিলামে বিক্রিরও নির্দেশ দেন চসিক প্রশাসক সুজন। এছাড়া শিশু পার্কের ভেতরে অবস্থিত লেক সিটি রেস্টুরেন্টটিকে কমিউনিটি সেন্টার হিসাবে ব্যবহার করে বিয়েসহ কোন ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান না করার নির্দেশও দেন তিনি।

এসময় তিনি শিশু পার্কের ভেতরে অব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ চলাচলপথে ভাঙ্গা ও যত্রতত্রভাবে ময়লা-আবর্জনা দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং সেখানে স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ রক্ষায় সৌন্দর্যবর্ধন ও পরিচ্ছন্ন কার্যক্রম দ্রুত শুরু করার নির্দেশ দেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চলাকালে পার্ক বন্ধ রেখে বেলা দুটার পর পার্ক খোলা এবং পার্কের আশেপাশে গড়ে উঠা অবৈধ দোকান-পাঠ ও স্থাপনা সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেন। অন্যথায় ইজারা বাতিল করা হবে বলে সর্তক করে দেন। তিনি পার্কটিকে নান্দনিক ছোঁয়ায় শিশুদের মনন বিকাশের উপযোগী করে গড়ার নির্দেশনা দেন।

এ সময় চসিকের বিদায়ী প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সামসুদ্দোহা, সচিব মো. আবু শাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে. কর্ণেল সোহেল আহমেদ, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম, প্রশাসকের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আবুল হাশেম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সুদীপ বসাক, ঝুলন কান্তি দাশ, আনোয়ার হোসেন, আবু ছালেহ, মনিরুল হুদা, নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, এস্টেট অফিসার কামরুল ইসলাম চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!