কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাত দিনের আল্টিমেটাম

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী তীরে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে সাত দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে ১০টি সংগঠন। কর্ণফুলী তীরের সদরঘাটে চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা এই আল্টিমেটাম দেন। শনিবার সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া ওই মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হয় দুপুর ১টায়। এতে কয়েকশ সাম্পান মাঝি বৈঠা বর্জন করে সমাবেশে অংশ নেন।
কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবিতে ১০টি সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও সাম্পান মাঝিদের বৈঠা বর্জন সমাবেশে বক্তারা বলেছেন, আগামি সাতদিনের মধ্যে নির্দেশনা অনুযায়ী কর্ণফুলী তীরের ২১৮১টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা না হলে উচ্চ আদালত অবমাননার অভিযোগ আনার পাশাপাশি কর্ণফুলীর সকল ঘাট অচল করে দেয়া হবে।
বক্তারা বলেন, দেশের ৯২ শতাংশ আমদানি রপ্তানি যে নদী দিয়ে কার্য সম্পাদন হয়সেই নদী রক্ষায় এতো নাটকীয়তা কিছুতেই মেনে নেয়া যায় না। গত ৪ ফেব্রুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাত্র ৬ দিন উচ্ছেদ অভিযান শেষে কি কারণে জেলা প্রশাসন নিরব হয়ে গেল তা জাতি জানতে চায়। জনগনকে অন্ধকারে রেখে অতীতে কোন ষড়যন্ত্র সফল হয়নি এখনো তা হতে দেয়া যাবে না।
বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল, কর্ণফুলী গবেষক ও বাংলাদেশ পরিবেশ ফোরাম চট্টগ্রাম সভাপতি অধ্যাপক ড. ইদ্রিচ আলী, চট্টগ্রাম নদী ও খাল রক্ষা আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আলীউর রহমান, কর্ণফুলী নদী সাম্পান মাঝি কল্যান সমিতি ফেডারেশন সভাপতি এস এম পেয়ার আলী, সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, ইছানগর সদরঘাট সাম্পান মালিক কল্যান সমিতির জিন্নাত আলী লেদু, আবুল কালাম, জাগির আহম্মদ, আবদুল মালেক ও ফরিদ আহম্মদ, চরপাথরঘাটা ব্রিজঘাট সাম্পান চালক কল্যান সমিতির সভাপতি জাফর আহমেদ, ইছানগর বড় সাম্পান মালিক কল্যান সমিতি সভাপতি সাইফুর রহমান, কর্ণফুলী নদী ফিশিং জাহাজ যাত্রী পারাপার কল্যান সমিতির সভাপতি মো. মিজানুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক আলী নূর, সদরঘাট ব্যবসায়ী কল্যান সমিতি সভাপতি মোহাম্মদ জুয়েল, সদরঘাট লেবার কল্যাণ সমিতির সভাপতি আবদুল জব্বার।
সিইউজে সভাপতি নাজিমুদ্দিন শ্যামল বলেন, উচ্ছেদ অভিযান সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত কর্ণফুলী রক্ষার এই আন্দোলন থামবে না। কর্ণফুলী রক্ষায় চট্টগ্রামের সকল মানুষ আজ এক হয়েছে আমরা আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন চাই।
অধ্যাপক ইদ্রিচ আলী বলেন, আদালতের নির্দেশনা নিয়ে লুকোচুরি চলবে না। আমরা প্রশাসনকে সতর্ক করছি আগামিতে আপনাদের কাটগড়ায় দাড়াতে হবে। আদালত এবং জনগনের কাঠগড়ায় দোষী হওয়ার আগে উচ্ছেদ অভিযান শেষ করার আহবান জানান।
আলীউর রহমান বলেন, বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন কর্ণফুলী তীরের জমি ইজারা ও ব্যবহার করে অর্থ উর্পাজন করে। কিন্তু কর্ণফুলী রক্ষা ক্ষেত্রে বিমাতাশুলভ আচরণ করবে তা মেনে নেয়া যায়না। কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা আগামি ৭ দিনের মধ্যে শুরু না হলে আমরা রাস্তায় নামবো, উচ্চ আদালতে যাবো।
সম্পাদনায়- সাইরিন সাকী

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!