কর্ণফুলী টানেল চালু হলেই চট্টগ্রাম হবে ‘ওয়ান সিটি-টু টাউন’

কাজ এগোল ৫৮ শতাংশ

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন টানেলের কাজ শেষ হলে বদলে যাবে চিরচেনা চট্টগ্রাম— এই আশাবাদ ব‌্যক্ত করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বললেন, “চীনের সাংহাই নগরীর মতো চট্টগ্রাম হবে ওয়ান সিটি-টু টাউন। নদী, পাহাড় আর সাগর-মোহনার চট্টগ্রাম পাবে নবরূপ। নদীর ওপারে গড়ে উঠবে আরেক চট্টগ্রাম। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ আবাসন ব্যবস্থা সম্প্রসারিত হবে।’

বুধবার (৯ সেপ্টেম্বর) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল নির্মাণকাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।

কর্ণফুলী টানেলের নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি ৫৮ ভাগ বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের প্রয়োজনে দিনরাত কাজ করে হলেও নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে প্রকল্প শেষ করার আহ্বান জানান।

চীনের সঙ্গে জি-টু-জি ভিত্তিতে প্রায় ১০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ টানেল নির্মাণ করা হচ্ছে। এ প্রকল্পে চীনা-সহায়তা প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে চীনের একটি প্রতিষ্ঠান।

চট্টগ্রামকে ঘিরে সরকার যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে বেশকিছু প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে— এমন কথা উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এরই মধ্যে নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দীর্ঘ দুটি টিউবের মধ্যে একটি খনন ও রিং স্থাপন কাজ শেষ হয়েছে। আরেকটি টিউবের খনন কাজ আমরা আশা করছি নভেম্বর মাসে শুরু করা যাবে। গতকাল (৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানেলের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৫৮ ভাগ।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনা সংকটের শুরুতে টানেলে কর্মরত প্রায় ৩০০ চীনা নাগরিক ছুটিতে নিজ দেশে অবস্থান করছিল। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে তারা বাংলাদেশে ফিরে আসে এবং কোয়ারেন্টাইন পিরিয়ড শেষ করে কাজে যোগ দেয়। করোনাকালের প্রথম দিকে সীমিত পর্যায়ে কাজ চললেও টানেলের খনন কাজ বন্ধ হয়নি। প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এগিয়ে গেছে খনন কাজ। এখন পুরোদমে কাজ চলছে।’

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কর্ণফুলী টানেলের দুই প্রান্তের সংযোগ সড়কের কাজ দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ‘যারা ক্ষতিগ্রস্ত বা যাদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে, তাদের ক্ষতিপূরণের অর্থ পেতে যেন কোনোরূপ ভোগান্তি না হয়। টানেল নির্মাণ প্রকল্পের একটি ব্যতিক্রমী দিক হল, শহরের একপ্রান্তে হওয়ায় নির্মাণকাজে কোনোরূপ জনভোগান্তি নেই। তবে নির্মাণকালে আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই কাজ করতে হবে। পাশাপাশি মেনে চলতে হবে স্বাস্থ্যবিধিও।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!