কর্ণফুলীর সাম্পান মাঝিদের চসিক ঘেরাওয়ের ঘোষণা, ধর্মঘট চলছে

বাড়তি মাশুল আদায়ের প্রতিবাদে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট ডেকেছিলো কর্ণফুলী নদীর সাম্পান মাঝিরা। মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ধর্মঘটের তৃতীয় দিন চললেও এই সংকটের কোনো সুরাহা হয়নি।

মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) চসিক ভবন ঘেরাওয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে মাঝিরা।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিন দিনেও যেহেতু কর্তৃপক্ষের টনক নড়েনি তাই বাধ্য হয়েই চসিক ভবন ঘেরাওয়ের মতো কঠোর কর্মসূচি নিয়েছেন তারা।

এদিকে মাঝিদের ধর্মঘটের কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কর্ণফুলী নদীর বাংলাবাজার ঘাট দিয়ে পারাপার করা পোশাকশিল্পের শ্রমিক, সবজি-চাষী ও বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।

এর আগে রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঘাটের ইজারায় অসন্তোষ প্রকাশ করে দক্ষিণ চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর পুরাতন ব্রিজঘাট থেকে যাত্রী পারাপার বন্ধ করে দেয় সাম্পান মাঝিরা।

সাম্পান মাঝিরা জানায়, এই নৌ-পথে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার যাত্রী পারাপার হয়। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ঘাটটি ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু লোক দিয়ে জনপ্রতি ৫ টাকা করে আদায় করছে। এ বিষয়ে সিটি মেয়রকে অভিযোগ দেওয়ার ১৫ দিন পরও কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় সাম্পান মাঝিরা এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে

কর্ণফুলী নদী সাম্পান কল্যাণ সমিতির উপদেষ্টা আলীউর রহমান বলেন, ‘কর্ণফুলীতে যত ঘাট আছে, সবগুলো সিটি করপোরেশন ইজারা দেয়, মাঝিরা ইজারা নেয়। মাঝিরা যাত্রীপ্রতি দুই টাকা করে সিটি করপোরেশনের জন্য রাখে। আর যে ঘাটে টোল কম সে ঘাটে এক টাকা করে সিটি করপোরেশনকে দেয়। কিন্তু এই ঘাটটি সিটি করপোরেশন ইজারা না দিয়ে স্থানীয় কিছু সন্ত্রাসীকে দিয়ে দিয়েছে। তারা চাঁদা তুলে কিছু সিটি করপোরেশনকে দেয়, আর কিছু নিজেরা রাখে। গত সপ্তাহে আমরা সরাসরি মেয়রকে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। মেয়র সেটা গ্রহণও করেছেন। এরপরও এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।’

বিএস/এমএফও

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!