কর্ণফুলীর বড়উঠানে লোভের শিকার পাখির দল

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানজুড়ে একসময় বসতো সাদা বকের আনাগোনা। দিন রাত বিচরণ ছিল অতিথি পাখিসহ অগণিত বকের। এখন আর সেইদিন নেই। বক দেখলেই বেড়ে যায় পাখি শিকারীদের দৌড়ঝাঁপ। সারা বছরই এরা পাখি ধরে বাজারে বিক্রি করে থাকে। এদের দৌরাত্ম্যে বকের আনাগোনা কমে গেছে। যা কিছু দেখা যায়, সেসবও শিকার করতে হানা দেয় লোভী কিছু মানুষ।

চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল আলীম ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান গ্রামটি সবসময় বকের ঝাঁকে জায়গাটা সাদা হয়ে থাকতো। আজকাল সেই দৃশ্য আর দেখা যায় না। তার কারণ বন্দুক হাতের এই শিকারীরা। এদের নিষ্ঠুরতার কাছে প্রকৃতি হার মানে।’

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একদল শিকারী প্রতিদিন বক শিকার করে বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি করছে। পাখি শিকার আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ জেনেও পাখির মাংসের স্বাদ ও টাকার লোভে কিছু অমানুষ অসহায় বকগুলো শিকার করছে।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকেলে কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠান গ্রামে গিয়ে পাখি শিকারীদের অপতৎপরতার ছবি তুলে শিক্ষাবিদ আবদুল আলীম জানিয়েছেন, ‘ছবি তোলার বিষয়টি টের পেয়ে একজন তার এয়ারগানটি চোরের মত পিছনে লুকালো। প্রকৃতি আর পক্ষীকূলকে বাঁচাতে এখন এই মানুষরূপী দানবদের শিকার করার সময় এসেছে।’

সবকিছু জেনেও চুপচাপ বসে আছেন কর্তৃপক্ষ— অভিযোগ এটাই।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!