কর্ণফুলীর অবৈধ দখল উচ্ছেদে সুখবর নেই নৌ-প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্যে

শুরু হয়েও মাঝপথে থেমে যাওয়া চট্টগ্রামের লাইফ লাইন কর্ণফুলী নদীর অবৈধ দখল/স্থাপনা উচ্ছেদ আবার কখন শুরু হবে তা জানাতে পারেননি নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘নদীকে দখলমুক্ত করতে গিয়ে অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে পারি না। সবকিছু দেখে ব্যালেন্স করে আমাদের মুভমেন্ট করতে হবে।আমারও খারাপ লাগছে যাদের এ সব স্থাপনা ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অনেকে জানেই না তাদের স্থাপনা অবৈধ। তারা আরেকজনের কাছ থেকে কিনেছিল। যে জমি কিনলো তার তো কোনো অপরাধই নেই। এই সমস্যার সমাধান দেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই। এটা আমাদের ব্যথিত করে। কাজেই আমাদের সবকিছু দেখেই চলতে হচ্ছে।
সোমবার (২০ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম বন্দরের সম্মেলন কক্ষে মত বিনিময় সভা শেষে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ সম্পর্কিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।

কর্ণফুলীর নদীর অবৈধ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়ে হঠাৎ মাঝপথে থেমে গেছে। এটা নিয়ে কোন পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর অবৈধ স্থাপনা আমরা উচ্ছেদ করছি। ভূমি মন্ত্রণালয়ের কাছে আমরা কিছু অর্থ সাহায্য চেয়েছিলাম। এ কাজগুলো করতে অনেক টাকার প্রয়োজন। ঢাকার বুড়িগঙ্গাসহ পাঁচ নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে মাস্টারপ্ল্যান হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী চূড়ান্ত অনুমোদন দিলেই আমরা কাজ শুরু করবো। কর্ণফুলী নদী এই মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে আছে।

সাংবাদিকদের অন্য এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সার্বিকভাবে চট্টগ্রাম বন্দর খুব ভালোভাবেই চলছে।বাংলাদেশের অর্থনীতির গতিশীলতায় বোঝা যায়, চট্টগ্রাম বন্দর ঠিক আছে। অর্থনীতির জন্য মূল সহায়ক কাজটিই করছে চট্টগ্রাম বন্দর। কাজেই এখানে আমাদের ভাবনার কিছু নেই।

চট্টগ্রাম বন্দরের কোন কোন বিষয়গুলো সরকার অগ্রাধিকার দিচ্ছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরের কোনো বিষয়কেই আমরা হালকাভাবে নিচ্ছি না।চট্টগ্রাম বন্দরই হচ্ছে আমাদের ফার্স্ট প্রায়োরিটি। একটা কাজ করতে গেলে কিছু নিয়মনীতি অনুসরণ করতে হয়। এভাবেই আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। যতগুলো প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, সবগুলোই পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে।

বে-টার্মিনালসহ অন্যান্য প্রকল্পের অগ্রগতি বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য হচ্ছে; নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করা।এটা যদি করতে না পারি, পরবর্তী নির্বাচনে আপনারাই ধরবেন। ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে গেলে বে-টার্মিনাল, পতেঙ্গা কনটেইনার টার্মিনালসহ চট্টগ্রাম বন্দরের প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।ফিজিক্যালি দেখা না গেলেও কার্যক্রম থেমে নেই।

আমাদের কিছু দুর্বলতা আছে।অনুন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশের দিকে গেছি। আমাদের আরও সময় লাগবে।বিশ্বের এতোগুলো বন্দরের মধ্যে আমরা একশো নাম্বারের মধ্যে আছি। আরও এগিয়ে যাবো। আমরা টপ জায়গায় যেতে চাই। যোগ করেন খালিদ মাহমুদ।

এ সময় জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়া আসনের সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী, আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবীবুর রহমান সিরাজ, চবক চেয়ারম্যান কমোডর জুলফিকার আজিজ, সদস্য (প্রকৌশল)কমোডর খন্দকার আকতার হোসেন,সচিব মো.ওমর ফারুকসহ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

এমএ /এস.আর

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!