কর্ণফুলীতে ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়ার হানা, খবর নেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলাতে ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগী বাড়ছে। কিন্তু এ নিয়ে উপজেলায় দায়িত্বরত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য সহকারীরা আক্রান্ত রোগীর তথ্য নিয়ে লুকোচুরি করছে। এমনকি গণমাধ্যমকর্মীদেরও সঠিক তথ্য দিচ্ছেন না তারা। অথচ সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে হাসপাতালে ভর্তির সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গু রোগীদের তথ্য জানাতে বলা হয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে কর্ণফুলী উপজেলার চরলক্ষ্যা, চরপাথরঘাটা, শিকলবাহা ও জুলধা ইউনিয়নের ডেঙ্গু এবং ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত রোগীরা ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে অনেকেই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।

কর্ণফুলী উপজেলার বিভিন্ন খাল ও পঁচা ডোবা রয়েছে। যা ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হয়ে মশার আবাসস্থলে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এসব খাল খনন কিংবা মশা নিধনে কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। উপজেলা পরিষদেরও কোনো তৎপরতা নেই।

বৈরী আবহাওয়ার কারণে এমনিতেই ঘরে ঘরে জ্বর, সর্দি হানা দিচ্ছে। তার ওপর ডেঙ্গুর প্রকোপে বাড়ছে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা। জ্বর হলে অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ ও রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে ডেঙ্গু ফেভার-ডি৫ আক্রান্ত শিকলবাহার মো. আমিনুল। ১৮ বছর বয়সী এ কিশোর হাসপাতালের ১৫ নম্বর কেবিনে ডা. ইশতিয়াক আহমেদের অধীনে চিকিৎসা নিচ্ছে। তার পরিবারের আরও একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত বলে জানা গেছে।

এছাড়াও নগরীর জিইসি মোড়ের মেডিকেল সেন্টারে রয়েছে কর্ণফুলীর আরেক ডেঙ্গু রোগী পিন্টু (১৭)। সে শিকলবাহা তাতিয়া পুকুরপাড় গ্রামের মো. পেয়ারের ছেলে। চরপাথরঘাটা এলাকার লেয়াকত আলী সওদাগরের শিশু ছেলেও ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পার্কভিউতে পাঁচদিন ধরে চিকিৎসা নিচ্ছে।

জানা গেছে, জুলধা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে কয়েকজন ম্যালেরিয়া রোগী এবং চরলক্ষ্যা ৪ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছে ডেঙ্গু আক্রান্ত একাধিক রোগী। কিন্তু সংশ্লিষ্ট এলাকার স্বাস্থ্য সহকারী মো. ইউনুস এবং স্বাস্থ্য পরিদর্শক অলকের কাছে এর কোনো সঠিক তথ্য নেই।

চিকিৎসকরা বলছেন, উপজেলায় এডিস মশার উৎপাত বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ছে। মশা নিধন করা না হলে সামনের দিনগুলোতে আক্রান্তের হার আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পটিয়া স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সব্যসাচী নাথ বলেন, ‘কর্ণফুলী উপজেলায় একজনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওনার কাছে সব তথ্য থাকবে। আমার কাছে কোনো ডেঙ্গু-ম্যালেরিয়া রোগীর তথ্য নেই।’

কর্ণফুলীতে দায়িত্বরত ডা. নওশাদ হোসেন বলেন, ‘ডেঙ্গু রোগীর কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। মাসখানেক আগে একজন ম্যালেরিয়া রোগী ছিল। কর্ণফুলী উপজেলার কোনো ডেঙ্গু রোগীর তথ্য আমার কাছে নেই।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!