কর্ণফুলীতে চলছে ভোট গ্রহণ, বিএনপি’র বর্জন

কর্ণফুলীতে চলছে ভোট গ্রহণ, বিএনপি’র বর্জন 1এহসান আল-কুতুবী : উপজেলা প্রতিষ্ঠার পর প্রথম উপজেলা নির্বাচন । এতদিন সবার মুখে আনন্দ উচ্ছাস থাকলেও ভোটের বেলায় সকালের প্রথম ভাগে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ছিল একেবারেই কম। তন্মধ্যে নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ এনে ভোট শুরুর দুই ঘন্টার মধ্যে ভোট বর্জন করল বিএনপি।

উপজেলার কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ইছানগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, ইছানগর মেডিকেল কেন্দ্র, আয়ুব বিবি কলেজ কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, অন্যান্য সময়ের মতো কেন্দ্রের বাইরে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন নেই। সকাল ৮টায় ভোট শুরুর পর প্রথম দুই ঘণ্টায় বাক্সে ভোট পড়ার হারও তুলনামূলকভাবে অনেক কম।

বেলা বাড়লে ভোটারদের উপস্থিতি কিছুটা বাড়তে পারে বলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

এদিকে রবিবার সকাল দশটায় বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফোরকানের বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষনা দিয়ে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এহসান এ খান। এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম মামুন মিয়া, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক আলী আব্বাস, বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফোরকান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হাজী মো. ওসমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী উম্নে মীরজান শামীমা উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে কর্ণফুলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি এহসান এ খান বলেন, উপজেলার বিয়াল্লিশটি কেন্দ্রের মধ্যে ২৬টি কেন্দ্রে আমাদের এজেন্টদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। যে সব কেন্দ্রে এজেন্ট ছিল সে সব কেন্দ্রেও এজেন্ট হুমকি দিয়ে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে। অনেক কেন্দ্রে সকাল থেকে বহিরাগত দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখল করে নেওয়ার অভিযোগও করেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে দেওয়া হয়নি, রাতেই আমাদের বিএনপির দলীয় চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীর বাসায় হামলা ও ককটেল বিষ্ফোলন করে তারা। ভোটারদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধা দিয়েছে, এ নির্বাচন আমরা মানি না, নির্বাচন বাতিল করে নতুন নির্বাচনী তফশিল ঘোষনা করে সুষ্টু নির্বাচনেরও দাবি জানান এহসান খান।

চেয়ারম্যান প্রার্থী এস এম ফোরকান অভিযোগ করে বলেন, আওয়ামীলীগের লোকজন বহিরাগতদের এনে নির্বাচনের পরিবেশ নষ্ট করে দিয়েছে, সকাল সাড়ে নয়টায় যেখানে ম্যাজিস্ট্রেটদের মাঠে থাকার কথা সেখানে ইউএনও উনাদের নিয়ে অফিসে যাচ্ছেন। এ নির্বাচন গ্রহনযোগ্য হচ্ছে না। আমরা এ নির্বাচন বাতিল করার জোর দাবি জানাচ্ছি।

অন্যদিকে, কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা সৈয়দ মোহাম্মদ আবু ছাঈদ জানিয়েছেন, প্রতি ২ কেন্দ্রে ১জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। ৫ ইউনিয়নের ৪২টি নির্বাচনী কেন্দ্রে প্রতিটিতে ৭ জন পুলিশ, ১৩জন আনসার সদস্য এবং বিজিবি ও র‌্যাবের ৫টি করে স্ট্রাইকিং ফোর্স রয়েছে।

সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কঠোর অবস্থানে রয়েছে বলে জানান চট্টগ্রামের পুলিশ সুপার নুরেআলম মিনা।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!