করোনা শনাক্ত ২৪৭—ছড়িয়ে পড়ছে উপজেলায়, পিছিয়ে চট্টগ্রাম নগর

চট্টগ্রামে নগরের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে উপজেলায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। দ্বিতীয় বারের মতো চট্টগ্রামের উপজেলা পেছনে ফেলল নগরকে। একই সাথে প্রতিদিনই প্রাণহানি ঘটছে চট্টগ্রামে। তবে আগের দিন মৃত্যু বাড়লেও এদিন তা আবার কমে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছে ২৪৭ জনের দেহে। শনাক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরের ১২৩ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ১২৪ জন। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ব্যক্তিটি উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৫৬ হাজার ৮৮০ জনে। মোট শনাক্তদের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৪ হাজার ৬২৭ জন। আর বিভিন্ন উপজেলার ১২ হাজার ২৫৩ জন রয়েছেন। অন্যদিকে, করোনা আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত মোট ৬৬৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ৪৬৪ জন চট্টগ্রাম নগরের আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২০২ জন।

বৃহস্পতিবার (২৪ জুন) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি ১০টি ও কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ১ হাজার ১৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করানো হয়।

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১৫৬ জনের জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে ১১ জন নগরের এবং ৭৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) ৩৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনা শনাক্ত হন ৪৬ জন। যাদের মধ্যে ২৯ জন নগরের। বাকি ১৭ জন উপজেলার রোগী।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১২ জনই নগরের, বাকি ১৩ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৩ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ১৭ জন নগরের এবং ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৭ জন এবং উপজেলার ২ জনের শরীরে করোনার উপস্থিতি পাওয়া যায়।

এছাড়া, নগরীর বেসরকারি করোনার ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ৯৭ জনের জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি পাওয়া যায়। এদের মধ্যে ১৬ জনই নগরের, বাকি ২ জন উপজেলার। শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা নগরের ১৫ জন ও উপজেলার ৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ৪৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জন করোনা রোগী পাওয়া যায়। এদের ৯ জন নগরের এবং ৫ জন উপজেলার। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে নগরের ১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়।

এছাড়া, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হলেও করোনা পজিটিভ রোগী পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে, পটিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ল্যাবে উপজেলার ২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে।

ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে লকডাউন ঘোষণা করা ফটিকছড়িতে এদিনও সবচেয়ে বেশি ৩৪ জন করোনা শনাক্ত হয়। এছাড়া রাউজানে ২১ জন, হাটহাজারীতে ২০ জন, সীতাকুণ্ড ও রাঙ্গুনিয়ায় ১৬ জন করে, মিরসরাইয়ে ৮ জন, বোয়ালখালীতে ৫ জন এবং লোহাগাড়, সাতকানিয়া, পটিয়া ও সন্দ্বীপে ১ জন করে শনাক্ত হয়েছেন।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!