করোনা-যুদ্ধে জিতে বাড়ি ফিরছেন চট্টগ্রামের আরও পাঁচজন

সুস্থ হয়ে দুজন হাসপাতাল ছেড়েছেন আগেই

করোনাভাইরাসের টানা দুঃসংবাদের মধ্যেই সুখবর এই যে, চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তদের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ রোগীর সংখ্যা এখন সাত। শুধু মঙ্গলবারেই (২১ এপ্রিল) সুস্থ হওয়ার সবুজ সংকেত পেয়েছেন পাঁচজন করোনা রোগী। তাদের বুধবার (২২ এপ্রিল) ছাড়পত্র দেওয়া হতে পারে। সুস্থ হওয়া অপর দুজন রোগী এরই মধ্যে হাসপাতাল ছেড়েছেন। সুস্থ হওয়ার পাইপলাইনে আছেন আরও একজন।

চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীনদের মধ্যে ৫ জনের নমুনা পুনরায় পরীক্ষা করা হয়েছে মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল)। এদের ৫ জনের ফলাফলই নেগেটিভ এসেছে। এই ৫ জনের মধ্যে চারজনের পর পর ২ পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ এল। এর মধ্যে প্রথমবার করোনা নেগেটিভ আসা একমাত্র রোগীটি হচ্ছে চট্টগ্রামের দামপাড়ায় শনাক্ত হওয়া প্রথম রোগী।

এছাড়া দামপাড়ায় শনাক্ত হওয়া চট্টগ্রামের ওই বৃদ্ধের ছেলের পর পর দুই পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ ফলাফল পাওয়া গেছে আগেই। পুরোপুরি করোনামুক্ত হয়েও পিতাকে ছাড়া হাসপাতাল ছাড়তে না চাওয়ায় তিনি সুস্থ হলেও বাড়ি ফেরেননি।

সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে এখন পুরোপুরি সুস্থ করোনা রোগী মোট ৫ জন— যাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেয়ার ক্ষেত্রে আর কোন বাধা নেই। পুরোপুরি সুস্থ এই ৫ রোগী হলেন শাপলা আবাসিকে শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনা পজিটিভ নারী হাসিনা বেগম, সীতাকুণ্ডে শনাক্ত হওয়া নারায়ণগঞ্জফেরত সেই ব্যাংক কর্মচারী মো. আনোয়ার, সিডিএ মার্কেট এলাকায় শনাক্ত হওয়া লোহার ব্যবসায়ী মো.কামাল উদ্দিন, সাগরিকা এলাকায় বসবাসরত গার্টেক্স গার্মেন্টের কর্মকর্তা ওমর আলী ও দামপাড়ায় আক্রান্ত হওয়া বৃদ্ধের ছেলে জাহেদুল হক।

অন্যদিকে প্রথমবার করোনা নেগেটিভ আসা দামপাড়ার ওই বৃদ্ধের আরও একটি টেস্ট করিয়ে কালকের মধ্যেই তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, ‘আজ (মঙ্গলবার) মোট ৫ জনের রি-টেস্ট নেগেটিভ এসেছে। এদের মধ্যে ৪ জনের পরপর দুবার নেগেটিভ এলো। একজন আগে থেকেই সুস্থ আছেন। আরেকজনের একটা রেজাল্ট নেগেটিভ আসছে। উনার ব্যাপারে কাল (বুধবার) আমরা সিদ্ধান্ত নেবো। বাকি ৫ জন হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়ে যাবেন কাল (বুধবার)।’

এর আগে সোমবার ফৌজদারহাটের বিশেষায়িত হাসপাতাল ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন দুজন রোগী। ওই দুইজনের মধ্যে নগরের ফিরিঙ্গিবাজারের করোনা আক্রান্ত রোগী ৫৫ বছর বয়সী গোলাম সাইফুদ্দিন মানিক পেশায় একজন কাঠ ব্যবসায়ী। পরপর তিন বার পরীক্ষায় এই রোগীর ফলাফল করোনা নেগেটিভ এসেছে। আরেকজন হলেন নগরের আকবরশাহ এলাকার ৩৫ বছর বয়সী সবজি বিক্রেতা ওমর ফারুক।

চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত ৪০ জনের মধ্যে মারা গেছেন ৫ জন। ফলে চিকিৎসাধীন রইলেন আর ২৮ জন।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!