করোনা ভাইরাস নিয়ে চীন থেকে যা বললেন চট্টগ্রামের জহির রায়হান

চীনের উহান থেকেই ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। এরই মধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে ৮০ জনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। বিশ্বের আরও ১২টি দেশে এ ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে বলে তথ্য মিলেছে। এমন অবস্থায় চীনের উহানে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

চীনের সিচুয়ান প্রদেশে অবস্থিত ইলেকট্রনিক সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রাজুয়েট রিসার্চ এসিসটেন্স হিসেবে আছেন চট্টগ্রামের ছেলে জহির রায়হান। বাংলাদেশে তিনি চট্টগ্রামের আইআইইউসি ও ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করেছেন। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) চীন থেকে ফেসবুক লাইভে এসে তিনি জানিয়েছেন করোনা ভাইরাসের থাবায় কম্পমান চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বর্তমান পরিস্থিতি।

এদিকে চীনের উহান থেকে রাকিবিল তুর্য নামে এক বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সম্প্রতি চায়নাতে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত শহর উহানে আমি বাস করছি। এখানে আমরা প্রায় ৫০০ জনেরও অধিক বাংলাদেশী উহানের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর, মাস্টার্স ও পিএইচডিও প্রোগ্রামে অধ্যায়নরত। উহান থেকে বহির্গামী সব বাস-ট্রেন এবং বিমান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন মারা গেছে এবং ৬০০-এরও বেশি মানুষ এতে আক্রান্ত হয়েছে। আমরা চাইলেও এখন নিজ দেশে ফিরে যেতে পারছি না। আমরা সবাই এক কঠিন মূহুর্ত পার করছি। আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের সবাইকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করেন।’

তবে এরই মধ্যে চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম জানিয়েছেন, চীনে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের যারা দেশে ফিরতে চান, তাদের ফিরিয়ে আনতে চীন সরকারকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চিঠি দিয়েছে বলে। বাংলাদেশি নাগরিকদের দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজনীয় বাকি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। তবে সেখান থেকে বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত সব প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিয়ে রেখেছে ঢাকা। যাদের ফিরিয়ে আনা হবে, তাদের দেশে আনার পর বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।

চীনের উহানে অবস্থানরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আসিফ আহমেদ সৌরভ বলেছেন, ‘আমরা সবাই ভালো আছি। দূতাবাস টেলিফোন করে খোঁজ-খবর নিয়েছে এবং একটি হটলাইন নম্বর দিয়েছে। আমাদের জন্য সপ্তাহে দুইটি বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যেন আমরা বাজার-সদাই এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সংগ্রহ করতে পারি।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!